অনলাইন ডেস্ক : দুধে ভেজাল মেশাচ্ছে দুধওয়ালা- এমন অভিযোগ লেগেই থাকে প্রত্যেকদিন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে এমন ঘটনায় দুধওয়ালার বিরুদ্ধে সটান মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলল সেই মামলার শুনানি। বাদী-বিবাদী দুই পক্ষের তরজার নিষ্পত্তি করতে কেটে গেল বহুদিন। দু-এক বছর নয়, ৩২ বছর ধরে আদালত কক্ষে চলল এই মামলা। অবশেষে বিচারক জানিয়ে দিলেন, সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত দুধওয়ালাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। সেই সঙ্গে যথোপযুক্ত সাজার ব্যবস্থাও করলেন বিচারক। ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম হরবীর সিং। দুধের মধ্যে নানা ধরনের ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করত। উত্তরপ্রদেশ খাদ্য দপ্তরের তৎকালীন আধিকারিক সুরেশ চাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৯০ সালের ২১ এপ্রিল শুরু হয় এই মামলার শুনানি। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলল এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া। তদন্তের সময়ে দুধের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার জানা যায়, দুধের ওই নমুনায় ভেজাল পাওয়া গিয়েছে। সরকারপক্ষের আইনজীবী রামঅবতার সিং বলেছেন, “হরবীর সিং যে দুধ বিক্রি করতেন, তাতে ভেজাল পাওয়া গিয়েছিল। যে ল্যাবে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল, তাদের রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে।” ৩২ বছর ধরে মামলা চলার পর অবশেষে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন হরবীর। তার জন্য যথাযথ শাস্তির ঘোষণাও করেছেন আদালতের বিচারক। বৃহস্পতিবার এই মামলার নিষ্পত্তি হল। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হল দুধবিক্রেতা হরবীরকে। শুধু তাই নয়, দুধে ভেজাল মেশানোর অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে।