অনলাইন ডেস্ক : সুলভমূল্যের দোকানির মাসিক আয় কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা নিশ্চিত করা,চাল,চিনি উত্তোলনে কুইন্টাল প্রতি এক কেজি ঘাটতি দেওয়া,পশ্চিমবঙ্গের রেশন মডেলে সবার জন্য খাদ্য কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা,বকেয়া কমিশন দেওয়ার সঙ্গে কমিশন বৃদ্ধি করা সহ ১১ দফা দাবিতে ২০ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটিতে ধরনা দিয়ে অসমের রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকপত্র প্রদান করা হবে।দাবি পূরণ না হলে ২২ মার্চ দিল্লিতে সংসদ ভবন ঘেরাও করা হবে। সোমবার হাইলাকান্দি শহরে হাইলাকান্দি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই ঘোষণা করেন সারা ভারত সুলভমূল্যের ব্যবসায়ী সংস্থার হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি মেঘনাথ পানিকা। ১১ দফা দাবিতে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি রেশন দোকানিরা দোকান বন্ধ করে রাখেন।দাবি আদায়ের এই আন্দোলনকে সফল করে তুলেন রেশন দোকানিরা।এতে সহযোগিতা করেন সুলভ মূল্যের দোকানের গ্রাহকরা। এজন্য সবাইকে অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে ধন্যবাদ জানান হাইলাকান্দি ডিস্ট্রিক্ট ফেয়ারপ্রাইস সোপ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেঘনাথ পানিকা। বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের জেলা উপসভাপতি সুদীপ পাল বলেন,করোনা সঙ্কটে কঠিন পরিস্থিতিতে রেশন দোকানিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকসেবা চালিয়েছেন।কিন্তু সরকার একবারও রেশন দোকানিদের দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। করোনা সঙ্কটে সরকারি কর্মচারীদের যেসব সুবিধা দিয়েছে সরকার রেশন দোকানিদেরও সেসব সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।এনএফএসএ-র ৮৪ মাসের বকেয়া কমিশন দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। রেশন দোকান থেকে গ্রাহকদের অতিরিক্ত চাল দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।ডিলার অ্যাসোসিয়েশন সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অতিরিক্ত চাল দেওয়া বন্ধ না করার দাবি জানিয়েছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাইলাকান্দি ডিস্ট্রিক্ট ফেয়ারপ্রাইস সোপ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল,উপ সভাপতি সোনাহর আলি লস্কর,তমেন্দ্র পাল,আবু তাহের লস্কর,মিনাজুর রহমান বড়ভূইয়া,মাসুক আহমদ লস্কর,জহিরুল ইসলাম চৌধুরী,শাহা আলম লস্কর,মঞ্জেশকুমার বাউরি,রাজেন লোহার,অভিজিৎ রায়,দিলোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া প্রমুখ।