অনলাইন ডেস্ক : ‘সস্তায় টেকসই’ চিনা পণ্যের লোভ সংবরণ করতে পারছে না ভারত! ভারত সরকার যখন চিনা পণ্যে নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলছেন, ঠিক তখনই চিন থেকে পণ্য আমদানিতে নয়া রেকর্ড করল ভারত। ২০২২ সালে ভারতে চিনা পণ্য আমদানি বাড়ল রেকর্ড হারে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালেই প্রথমবার চিনা পণ্য আমদানির অঙ্কটা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেরিয়েছে। গতবছর চিন থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যের মোট মূল্য ১১৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ২০২১ সালে ছিল ৯৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরে চিনা পণ্যের আমদানি বেড়ে গিয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। উদ্বেগের এখানেই শেষ নয়। চিন থেকে ভারত যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করে, সে তুলনায় রপ্তানির পরিমাণটা এমনিই নগণ্য। গতবছর সেটা আরও কমেছে। ২০২১ সালে চিনে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৮.১ বিলিয়ন ডলার। সেটা ২০২২ সালে আরও কমে হল ১৭.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিসংখ্যানই স্পষ্ট বলে দিচ্ছে, লাদাখে সংঘাতের আবহে ভারতীয়রা যতই চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিক না কেন, চিনা পণ্যের প্রতি দেশবাসীর আগ্রহ কিছুতেই কমছে না। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছিলেন, সেটাও চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রশ্ন উঠছে, ভারত সরকার যখন বিদেশি পণ্য নির্ভরতা কমানো নিয়ে এত কথা বলছে, মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো প্রকল্পের প্রচারে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে, তখন বিদেশি পণ্য বিশেষ করে এত চিনা পণ্য আমদানির প্রয়োজন পড়ছে কেন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আসলে সরকার মুখে যতই চিনা পণ্যের বিরোধিতা করুক, চিনের পণ্যের বাজার এত প্রসারিত যে সেটাকে অস্বীকার করার জায়গা নেই। তাছাড়া এখনও এমন বহু চিনা পণ্য আছে, যা ভারতে এখনও তৈরি হয় না। স্বাভাবিকভাবেই রাতারাতি চিনা বাজার নির্ভরতা রাতারাতি কমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়।