অনলাইন ডেস্ক : আকস্মিক মৃত্যু ঘটল কাছাড় কলেজের বরিষ্ঠ শিক্ষাকর্মী বিশ্বজিৎ দাসের। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২। রেখে গেছেন স্ত্রী, কিশোরী কন্যা, আত্মীয়-পরিজন ও শোকবিহ্বল সহকর্মীদের। সোমবার সকালে নিয়মিত শারীরিক কসরতের সময় হঠাৎ তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সকাল সাতটায় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কাছাড় কলেজে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা চোখের জলে প্রিয় সহকর্মীকে শেষ বিদায় জানান। আসাম কলেজ শিক্ষাকর্মী সংগঠনের কাছাড় কলেজ ইউনিটের তরফে সভাপতি অলোকশঙ্কর দেব মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। সংস্থার কলেজ সম্পাদক বিশ্বজিৎ যাদব গুয়াহাটি থেকে শোক জ্ঞাপন করেন। আসাম কলেজ শিক্ষক সংস্থার কাছাড় কলেজ ইউনিটের হয়ে সভাপতি মুকুল কুমার বরুয়া ও সম্পাদক কজেন বসুমাতারি এবং কাছাড় কলেজ টিচার্স কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যক্ষ কিরীটিভূষণ দে ও সম্পাদক পদ্মশ্রী চক্রবর্তী শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিন কলেজের সমস্ত পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাতিল করা হয়। অধ্যক্ষ কিরীটিবাবু জানিয়েছেন যে, কলেজে বিমলাংশু রায় ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠান ছিল বেলা সাড়ে এগারোটায়। ‘ক্যারিয়ার্স ইন ন্যাশন বিল্ডিং’ শিরোনামের বক্তৃতা প্রদান ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় করার কথা ছিল সাংসদ রাজদীপ রায়ের। কিন্তু এই শোকাবহ পরিস্থিতিতে সাংসদ নিজেই অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে দেন। বিশ্বজিৎবাবুর অকালপ্রয়াণে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন। দুপুরে শিলচর শ্মশানে তাঁর একমাত্র কন্যা, পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে বিশ্বজিৎ দাসের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সুভদ্র ও দক্ষ কর্মী হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। ১৯৯১ সালে ল্যাবরেটরির কর্মী হিসেবে কাছাড় কলেজে যোগ দেন বিশ্বজিৎবাবু। নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার ফলে তিনি চাকরিতে উন্নতি করেন। বত্রিশ বছরের কর্মজীবনের শেষের ক’টি বছর তিনি একা হাতে সামলেছেন কলেজের অ্যাকাউন্টস বিভাগ।