অনলাইন ডেস্ক : চোলাই মদের ঠেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটলো শ্রমিকের। দয়াল তাঁতি (৪৭) নামে ওই শ্রমিককে চক্রান্ত করে বিদ্যুতবাহী লাইনের সংস্পর্শ ঘটিয়ে তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার এই ঘটনা ঘটে শিলচর থানা এলাকার কাঠাল বাগানের অদূরবর্তী হালটিয়া বাগানে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজিত দয়ালের পরিজনরা মদের ঠেকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ঠেকের মালিক রাজু রী-কে কিছুটা উত্তম মাধ্যমও দেন। রাজুকে পুলিশ ইতিমধ্যে আটক করেছে।
রাজুর বাড়ি দয়ালের বাড়ির কাছেই। দয়াল ছিলেন বাগানের শ্রমিক। তার পরিজনরা জানিয়েছেন, রাজুর বাড়িতেই রয়েছে চোলাই মোদের ঠেক। এদিন সকাল আটটা নাগাদ দয়াল কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। তখন রাজু রাস্তা থেকে তাকে ডেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তারা জানতে পারেন মৃত্যু ঘটেছে দয়ালের। রাজু তাদের জানান, তার বাড়িতে বিদ্যুৎবাহী তার ছিড়ে গিয়েছিল। এই তার জুড়ে দেওয়ার জন্য ডেকেছিলেন দয়ালকে। তখন তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পরিজনরা একথা জানিয়ে অভিযোগ করেন, দয়াল বিদ্যুৎপষ্ট হলেও রাজু বা তার পরিবারের লোকেরা তাদের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারটা জানাননি। তারা নিজে থেকেই তাকে নিয়ে রওয়ানা হন হাসপাতালের উদ্দেশ্যে।কিছুদূর এগুনোর পর
দয়ালের মৃত্যু ঘটলে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান নিজেদের বাড়িতে। এরপর তাদের জানান । দয়ালের পরিজনরা আরও বলেন, দয়াল বিদ্যুতের কাজ কিছুই জানতেন না। তাই বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়াটা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। সবকিছু মিলিয়ে তারা নিশ্চিত, রাজুরা পরিকল্পনা মাফিক দয়ালকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বিদ্যুৎবাহী লাইনের সংস্পর্শ ঘটিয়ে হত্যা করেছেন তাকে।
এদিকে সকালে দয়ালের মৃত্যুর পর বেলা যত গড়াতে থাকে ততই বাড়তে থাকে উত্তেজনা। দুপুরের দিকে দয়ালের পরিজন সহ আশপাশের কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে রাজুর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান মদের ঠেকে। রাজুকেও কিছুটা উত্তম মধ্যম দেওয়া হয়। এসবের মাঝে খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশ রাজুকে আটক করার পাশাপাশি দয়ালের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর পাশাপাশি রাজুর ঠেক থেকে প্রায় ২০০ লিটার চোলাই মদ বের করে এনে নষ্ট করা হয়।
রাজুকে আটক করা হলেও ঘটনাটা হত্যাকান্ড না নেহাতই দুর্ঘটনাবশত বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু, পুলিশ এই মুহূর্তে এ নিয়ে কিছু বলতে রাজি নয়। পুলিশের এক সূত্র জানান, বর্তমানে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।