অনলাইন ডেস্ক : রাজ্য সরকারের দুৰ্নীতি-বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবার দুর্নীতি দমনের জালে পোরা হয়েছে ডিমা হাসাও জেলা পূর্ত বিভাগ (লোক নির্মাণ বিভাগ)-এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মনোজকুমার শইকিয়াকে। আজ হাফলঙে পিডব্লিউডির ডিভিশনাল অফিসে হানা দিয়ে ঘুসের টাকা নেওয়ার সময় ডিরেক্টরেট অব ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের অফিসাররা হাতেনাতে পাকড়াও করেছেন পুর্ত বিভাগের (রোড অ্যান্ড বিল্ডিং) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে।
জনৈক ঠিকাদারের বিল পাস করিয়ে দেওয়ার নামে ১০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন পুর্ত দফতরের কার্যনির্বাহী অভিযন্তা মনোজকুমার শইকিয়া। ঠিকাদার বিষয়টি জানান ডিরেক্টরেট অব ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনকে। অভিযোগ পেয়ে ছক কষেন দুর্নীতি নিবারণের অফিসাররা। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ হাফলঙে লোক নির্মাণ (রোড অ্যান্ড বিল্ডিং)-এর ডিভিশনাল কার্যালয়ে সাদা পোশাকে গুয়াহাটি থেকে আগত ডিরেক্টরেট অব ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের অফিসাররা হানা দেন। কষা ছক অনুযায়ী অভিযোগকারী ঠিকাদার নগদ ১০ হাজার টাকা যখন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন, তখন ছুটে গিয়ে হাতেনাতে দুর্নীতি দমনের অফিসাররা পাকড়াও করেন মনোজকুমার শইকিয়াকে। ঘটনা ঘটেছে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। এদিকে পুর্ত বিভাগের কার্যনির্বাহী অভিযন্তার সরকারি বাসভবনে হাফলং সদর থানার পুলিশ এবং ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের অফিসাররা অভিযান চালিয়ে নগদে বহু লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন। ধৃত মনোজকুমার শইকিয়াকে গ্রেফতার করে আজ রাতেই গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার মনোজকুমার শইকিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নগাঁওয়ে বিশাল সম্পত্তি গড়েছেন তিনি। নগাঁওয়ের চাপানালায় বেশ কয়েকটি ফিশারি ছাড়া হিসাব বহির্ভূত বেনামে বহু সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, ডিমা হাসাও জেলায় এই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিক ডিরেক্টরেট অব ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি-করাপশনের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।