অনলাইন ডেস্ক : স্বামীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে ধৃত মৌসুমী দাস (২৪)কে প্রেরণ করা হলো হাজতে।
সোমবার শহরের সৎসঙ্গ আশ্রম রোড গ্রীন লেনে ঘরের ভেতর মৌসুমী তার স্বামী বিট্টু দাস (৩১)-এর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালান বলে অভিযোগ। ঘটনার পরই পুলিশ আটক করে মৌসুমিকে। তবে নিজে হামলার শিকার হলেও পত্নী মৌসুমী মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে বিট্টু প্রথমত এজাহার দায়ের করতে রাজি হননি। যদিও পরবর্তীতে তার মা দায়ের করেন এজাহার। এর ভিত্তিতে পুলিশ মৌসুমীকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতে পেশ করে। আদালতের নির্দেশে তাকে প্রেরণ করা হয় জেলহাজতে।
পুলিশের এক সূত্র জানান, সোমবার ঘটনার পর মৌসুমী মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও এদিন আদালতে পেশ করার আগে জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে কিছু কিছু কথা বলেছেন। ঘটনার পর বিট্টু দাস পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ভাড়াঘর বদলে আরও ভালো মানের ঘরে যাওয়ার জন্য মৌসুমী তার উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। তিনি মৌসুমীর এই চাওয়া পূরণ করতে না পারায় হামলা চালান তার উপর। পুলিশের সূত্রটি জানান মৌসুমীও এদিন একই কথা বলেছেন। সঙ্গে তিনি অবশ্য এও বলেন, সোমবার ঘরে ভাত রাঁধার জন্য চাল ছিল না। স্বামী বিট্টুকে তিনি চাল আনতে বলেছিলেন, কিন্তু বিট্টু চাল আনতে না গিয়ে ঘরে বসে থাকেন। ভাড়া ঘর নিয়ে আগে থেকেই তিনি ক্ষেপেছিলেন বিট্টুর উপর, এরপর আবার চাল আনতে না যাওয়ায় নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। হামলা চালিয়ে দেন বিট্টুর উপর। একথা জানিয়ে পুলিশের সূত্রটি বলেন, মৌসুমী এভাবে বয়ান দিলেও মাঝে মাঝেই তার কথায় ধরা পড়ছিল অসংলগ্নতা।
এদিকে আহত বিট্টু দাস বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। এদিন পুলিশ যখন মৌসুমিকে আদালতে পেশ করে তখন তাকে দেখতে ভিড় জমে যায়। সেখানে হাজির হতে দেখা যায় তার বাবা-মা সহ অন্যান্য পরিজনদেরও। মেয়ের কর্মকাণ্ডে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত মৌসুমীর বাবা-মাকে দেখা যায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে। এক সময় বাবা চেতনাও হারিয়ে ফেলেন।