অনলাইন ডেস্ক : স্পাইডারম্যানের মতো ক্ষিপ্র গতিতে উচু উচু ভবনের উপরে উঠে যাওয়া এক চোরকে ঘিরে শিলচর শহর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র আতঙ্কের। শীতের রাতে অর্ধনগ্ন হয়ে অভিযানে বের হয়ে এই চোর সাফাই করে দিচ্ছে বহু গৃহস্থের ধন সম্পদ। তার এমন কার্যকলাপ ধরা পড়েছে বহু বাড়ির সিসি ক্যামেরায়। চোরের এই আতঙ্ককে ঘিরে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলো জেলা কংগ্রেস।
মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ পালের নেতৃত্বে দলের এক প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপার নূমল মাহাতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একের পর এক চুরির ঘটনায় জনমানসে সৃষ্টি হওয়া আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন। তারা চোরকে পাকড়াও করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানালে, পুলিশ সুপার এনিয়ে উদ্যোগী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
কংগ্রেস প্রতিনিধিরা এর পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি যেভাবে রাতে মদ্যপান করে যান চালনার বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে, তা অব্যাহত রাখারও দাবি জানান।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে কংগ্রেস প্রতিনিধিরা জেলা পরিবহন আধিকারিক (ডিটিও) কার্যালয়ে যান। তারা ডিটিও-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর কার্যালয়ে দালাল রাজ চলছে বলে অভিযোগ করেন। কংগ্রেস কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন, কার্যালয়ে গেলে দেখা যায় কর্মীদের চেয়ে চার গুণ বেশি দালাল ঘোরাঘুরি করছে। কেউ কোনও কাজে কার্যালয়ে গেলে তাকে দালালদের খপ্পরে পড়ে গুনে দিতে হয় গাটের কড়ি।
তারা ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেন এরমধ্যে কার্যালয় দালাল মুক্ত না হলে কংগ্রেস কর্মীরা নিজেরা নেমে পড়বেন অভিযানে।
এ দিনের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সীমান্ত ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত সরকার, সঞ্জীব রায়, বিনয় কান্তি দাস, কুশল দত্ত, দেবদীপ দত্ত, জন্মজয় চৌধুরী ও তাপস দাস প্রমূখ।