অনলাইন ডেস্ক : ডিমজেল লালবই মিচায়েল, পাওজেলেন ডিমজেল ও থাঙ্গবই ডিমজেল । কুকি জনগোষ্ঠীর এই তিন যুবক মণিপুরের কাঙ্গপকপই জেলার সাইকুল থানা এলাকার সাইজং গ্রামের বাসিন্দা। সাম্প্রতিককালে কাছাড়ের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এদের গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি নাইন এমএম পিস্তল ও ৬৫টি তাজা গূলি।
তিনজনের গ্রেফতারি জেলা পুলিশের এক বড় মাপের সাফল্য বলে দাবি করে পুলিশ সুপার নোমল মাহাতো ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সুব্রত সেন জানান, এরা সাম্প্রতিক কালে সোনাবাড়ি ঘাটের হার্ডওয়ারের দোকান, সোনাইর পেট্রোল পাম্প ও জিরিঘাটের মদের দোকানে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশকর্তারা জানান, মনিপুরের বাসিন্দা হলেও সে রাজ্যে জাতি দাঙ্গার দরুন উদ্বাস্তু হয়ে কিছুদিন ধরে তিনজন রয়েছে মিজোরামের কলাশিব এলাকার আশ্রয় শিবিরে। ওই আশ্রয় শিবির থেকে এসেই এরা ডাকাতি করতো কাছাড়ের বিভিন্ন এলাকায়। এরপর ডাকাতি সেরে ফের ফিরে যেত আশ্রয় শিবিরে।
ডাকাতির ঘটনাগুলোর তদন্তে নেমে পুলিশ এদের কথা জানতে পারে। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর আসে তিনজন একটি ক্রিয়েটা গাড়ি(নং- এম জেড-০১আর-০০১২)তে চড়ে সোনাই হয়ে শিলচরের দিকে আসছে। তখন সোনাই থানার ওসি মহাত্মা মানব হ্যান্ডিক বাহিনী নিয়ে পিছু ধাওয়া করে তাদের ধরে ফেলেন। পাকড়াও করার পর এদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি গাড়িতে পাওয়া যায় মণিপুর পুলিশের একটি স্টিকারও। বর্তমানে তিনজনকে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
জিরিঘাট, সোনাই এবং সোনাবাড়িঘাটে ডাকাতির কথা এই তিনজন স্বীকার করলেও, পুলিশ সন্দেহ করছে এরা হয়তো এজেলায় আরো অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়েছে। এবং শুক্রবার রাতে তাদের যখন পাকড়াও করা হয় তখনও তারা কোথাও ডাকাতির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ। কথার সূত্রে দুই পুলিশকর্তা বলেন, ডাকাতি করলেও তিনজন স্রেফ ডাকাত না কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত রয়েছে বর্তমানে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এদের সঙ্গে এ জেলার কারো সংযোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তারা। সন্দেহ করা হচ্ছে এ জেলার কেউ হয়তো ডাকাতির ক্ষেত্রে তাদের “গাইড” হিসেবে কাজ করেছে।
পুলিশকর্তারা আশা ব্যক্ত করেন, তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে হয়তো বেরিয়ে আসতে পারে অনেক বিস্ফোরক তথ্য। এবং তাদের গাড়িতে মণিপুর পুলিশের স্টিকার কিভাবে এলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।