অনলাইন ডেস্ক : মোবাইলে অত্যাধিক আসক্তি শিশুদের যে কতখানি ক্ষতি করছে, এই বিষয়টাকে এবার থিম করছে শিলচর রাধামাধব রোড পাল কলোনির বিধান সরণি সর্বজনীন কালী পূজা কমিটি।
এবার কমিটির পুজো ৫০ বছরে পা দিয়েছে। সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পুজো পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে দ্য জুয়েলস ক্লাব। শুক্রবার কমিটির কর্মকর্তারা এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, বিশেষত করোনা কালের পর থেকে শিশুদের পড়াশোনা সহ সব কিছুই যেন হয়ে গেছে মোবাইল নির্ভর। মোবাইল নিয়ে ঘরে আবদ্ধ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে জীবনের অনেক কিছু থেকেই। মোবাইলের বাইরেও যে জীবনের অনেক কিছু রয়েছে, এ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই এই উদ্যোগ।
কর্মকর্তারা বলেন, খেলাধুলা, বইপড়া এসব যেন আজকের শৈশব জানেই না। তাদের সবকিছু মোবাইল নির্ভর। এটা শিশুদের জীবনে কতখানি ক্ষতিকর তা অনুধাবন করতে হবে অভিভাবকদের।
তারা জানান, এবার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পুজোর বাজেট ১০ লক্ষ টাকা। বই নিয়ে শিশুদের আকর্ষণ জায়গাতে ১০ ফুট উঁচু প্রতিমার হাতে থাকবে বই। এছাড়া প্রতিমার কাঠামোয় থাকবে খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ জাগাতে শিশুদের প্রতি বার্তা। প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পী শুকদেব পাল। মন্ডপ সজ্জার দায়িত্বে থাকতেন সুমিত দাস এবং আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকছেন সঞ্জীব দাস। বিগ বাজেটের পুজো তাই আলোকসজ্জায়ও থাকবে বিশেষত্ব। পুজোর উদ্বোধন করা হবে বুধবার, উদ্বোধন করবেন রামকৃষ্ণ মিশনের গণধিশানন্দজি মহারাজ। শনিবার পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে মন্ডপ। পূজো দর্শন করা যাবেs সারা রাত। পুজোকে ঘিরে আয়োজন করা হবে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরেরও ।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কর্মকর্তারা জানান, পূজো দর্শণের জন্য তারা কোনও ধরনের টিকিট বা বিশেষ ব্যবস্থা রাখার পক্ষপাতি নন। কারণ তাদের কাছে সব দর্শনার্থীই সমান। তাদের কথায় সবাই যদি পূজো দর্শনই করতে না পারেন, তবে এমন আয়োজনের কোনও মানে হয় না।
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৌতম চন্দ্র পাল, রিঙ্কু পাল, দেবব্রত পাল, রতন পাল, আকাশ পাল, হীরক পাল, সৌরভ পাল, বাপন পাল, বান্টি পাল ও রাহুল পাল প্রমুখ।