অনলাইন ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার জন্য আরও ৬ মাস অতিরিক্ত সময় লাগবে। এমনটাই জানানো হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে। এই নিয়ে মোট সপ্তমবার সময়সীমা বর্ধিত করার কথা জানাল কেন্দ্র। ২০১৯-এ এই আইন পাশ হলেও এখনও পর্যন্ত দেশের কোথাও তা বলবৎ হয়নি। ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান, পার্সি বা জৈন ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন, এমনটাই বলা হয়েছে ওই আইনে। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এই আইন বলবৎ হবে।
গত ২৪ নভেম্বর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবং করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বিরোধীদের বার্তা দিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, ‘যাঁরা ভাবছেন সিএএ কোনওদিন কার্যকর হবে না, তাঁরা ভুল ভাবছেন।’
তবে উত্তর-পূর্বের বেশিরভাগ রাজ্যকেই এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে এই আইনের আওতায় ফেলা হয়নি। বাদ রাখা হয়েছে অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও মণিপুরকে। পশ্চিমবঙ্গেও এই আইন নিয়ে জটিলতা রয়েছে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে এই আইন বলবৎ করার জন্য সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ গ্রহণ করেছে রাজ্যসভার কমিটি। তবে লোকসভার সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০২২-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সংসনীয় নীতি অনুযায়ী, যখন কোনও সরকার আইন পাশ করার ৬ মাস পরও আইন কার্যকর করতে পারে না, তখন সংসদীয় কমিটির কাছে সময় বাড়ানোর আর্জি জানাতে হয় । ২০১৯-এর ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ১২ ডিসেম্বর সেই বিলে সই করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সময় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২০-র ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই এই আইন কার্যকর হবে। এই আইন নিয়ে তৃণমূল, কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দলই সরব হয়।