অনলাইন ডেস্ক : সীমা বাগদির হ্যাটট্রিক সহ চার গোলের সাহায্যে সাময়িক প্রসঙ্গ কাপ প্রাইজমানি মহিলা ফুটবলের উদ্বোধনী ম্যাচে সোমবার পিডব্লুডি মেকানিক্যাল ক্লাব ১০-০ গোলে হারাল মুনলাইট ক্লাবকে। শিলচর স্পোর্টিং মাঠে দীর্ঘ দিন পর বসেছে মহিলা ফুটবলের আসর। দৃষ্টিনন্দন ম্যাচটি দেখতে লোক সমাগম হয়েছে ভালই। বড় ব্যবধানে হারলেও নবাগত দল হিসেবে মুনলাইট ক্লাবের প্রসংশা করা যেতেই পারে। আসলে পিডব্লুডি দলে বেশ কয়েক জন মহিলা ফুটবলার রয়েছেন যারা জেলা দলের পক্ষে নিয়মিত খেলছেন কয়েক বছর ধরে। গোলরক্ষক কিরন চৌহান, ডিফেন্ডার মন্জলী দাস, লাভলি গোয়ালা, মিডিও রেবতি মুন্ডা, শ্রীমতী কর্মকাররা জেলার প্রতিষ্ঠিত মহিলা ফুটবলার। দুই দলের মধ্যে ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন তারাই। এর ওপর জেলার মহিলা ফুটবলে এবার বড় প্রাপ্তি পিডব্লুডি মেকানিক্যাল ক্লাবের স্ট্রাইকার সীমা বাগদি। আজ অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে নবাগত মুনলাইটের কাছে আজ পিডব্লুডি -র প্রদর্শন ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ম্যাচের শুরু থেকেই লাগাম হাতে তুলে নেয় পিডব্লুডি। ৫ ও ৭ মিনিটে প্রথম দুটি গোলই করেন সীমা। প্রথমটি বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে। দ্বিতীয় গোলটি পাওয়ার জন্য ওতপেতে ছিলেন। ডান প্রান্ত থেকে ভাসমান বল পায়ে পড়তেই সুযোগ সন্ধানী সীমা দ্বিতীয় পোস্টের পাশ থেকে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি। ৭ মিনিটের মধ্যে দু’গোল পেয়ে মনোবল দ্বিগুণ হয়ে যায় পিডব্লুডি -র। ১০ ও ১৬ মিনিটে পরের দুটি গোল করেন মিনা মুরা। বেশ চনমনে স্ট্রাইকার লেগেছে তাকেও।
দলের পক্ষে পঞ্চম গোলটি করেছেন লাভলি গোয়ালা। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তার যে দায়িত্ব ছিল সেটা ভাল ভাবেই করতে পেরেছেন তিনি। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব গুণই রয়েছে তার মধ্যে। গোল একটাই করলেও পরিকল্পনা মাফিক দলকে খেলানোর দায়িত্বটা ছিল কিন্তু তার কাঁধেই। বিরতির পর হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করতে আরও দু’গোল করেছেন সীমা। এককথায় আজ মাঠ মাতিয়ে তুলেছেন সীমা। বিরতির আগেই দল পাঁচ গোলে এগিয়ে গেলেও গোল ক্ষুদা তাকে স্থির থাকতে দেয়নি তাকে। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিভার সদ্ব্যবহার করে তিন গোল করে হ্যাটট্রিক করেছেন সন্ধ্যা বাল্মিকী। উঁচু গড়নের মেয়েটি পরিচর্যা পেলে অনেক দূর যেতে পারবে।
ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন ডিএসএ-র সভাপতি শিবব্রত দত্ত, সহ সচিব (প্রশাসন) দেবাশিস সোম, শিলচর স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ড. অনুপ রায়, সাময়িক প্রসঙ্গের সম্পাদনা তৈমুর রাজা চৌধুরী, সাময়িক প্রসঙ্গের ডিরেক্টর তৌহিদ রাজা চৌধুরী প্রমুখ। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সাংসদ রাজদীপ রায়ের উপস্থিতি উদ্বোধনী খেলায় অন্য মাত্রা যোগ করে। ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের সামনে ছোট্ট বক্তব্য রাখার পর সাংসদ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সীমা বাগদির হাতে স্মারক তুলে দেন।