অনলাইন ডেস্ক : করিমগঞ্জ জেলার উত্তর ঘোলছড়া এলপি স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল বুধবার। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জের অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা বিভাগ) বিপুল দাস। তিনি এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,করিমগঞ্জ জেলায় বাল্যবিবাহ খুব বেশি। এর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরও দেখা যায় গোপনে চলছে বাল্যবিবাহ। জেলার বিভিন্ন স্থানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনগণকে আরও সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন,সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ প্রথা বন্ধ করতে হলে নারীশিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। নারী পরিবারের বোঝা নয়। নারীকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুললে সমাজের এই কুপ্রথা রোধ করা সম্ভব হবে। এডিসি বিপুল দাস আরও বলেন,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও এগিয়ে আসা উচিত। বাল্যবিবাহের জন্য আজ অনেক প্রতিভা ধ্বংস হচ্ছে।আর এসব প্রতিভা ধ্বংসের মূলে অভিভাবকরাই।তিনি বলেন,অভিভাবকরা সচেতন হলে বাল্যবিবাহের সংখ্যা শূন্যতে চলে আসবে। সুতরাং প্রত্যেক অভিভাবকের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা খুবই জরুরি। এডিসি দাস বলেন,জেলায় আত্মঘাতী হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বেশিরভাগ আত্মঘাতী হচ্ছে অল্পবয়েসিরা।তিনি বলেন, করিমগঞ্জ জেলায় চিকিৎসকেরও অভাব রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় অন্য জেলা থেকে করিমগঞ্জে চাকরিতে যোগ দিয়ে কিছুদিন থাকার পর নিজ গৃহজেলায় যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেন ডাক্তাররা। আর বদলি হয়ে চলে গেলে সেই খালি পদে ফের নিযুক্তি দিতে কিছুটা সময় লেগে যায়। তিনি উল্লেখ করেন,যদি গৃহজেলার ছেলে বা মেয়ে ডাক্তার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে তাহলে অন্তত বদলি হয়ে অন্য জেলায় যাওয়ার চেষ্টা করবে না। তাই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়ে একজন ভাল মানুষ হওয়ার পাশাপাশি সুচিকিৎসক,ইঞ্জিনিয়া, প্রশাসক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিনোদিনী ক্লাস্টার সেন্টারের সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন,বদরপুর নবীনচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক ফজলুর রহমান লস্কর,খাগাইল হাইস্কুলের শিক্ষক হোসাম উদ্দিন,বদরপুর আল-আমিনের আহমদ আলি প্রমুখ।