অনলাইন ডেস্ক : কারোর সর্বনাশ তো কারোর পৌষমাস। আপাতত পৌষ দূরে থাকলেও বৈশাখের এই হাইটেম্পারেও মেজাজটা বেশ ‘কুল ‘ উধারবন্দ ক্রীড়া সংস্থার ( ইউএসএ ) আগের কমিটির। অভিভাবক শিলচর ক্রীড়া সংস্থার এনওসি পেয়ে যাওয়ায় অনুমোদনের ‘সাপ – লুডো ‘ -তে আপাতত অ্যাডভান্টেজ তো তাদের হাতেই। সেজন্যই এক বিবৃতির মাধ্যমে বিজেন্দ্র, বাবুল হোড়দের ধন্যবাদ জানাল সঞ্জু রায় শিবির। তাদের এই ‘গান্ধীগিরি ‘ ইউএসএ – র শীতল যুদ্ধে আলাদা ফ্লেভার এনে দিল বটে।
ইউএসএ- র আসল নকলের লড়াই এদিক -ওদিক করতে করতে প্রায় দু বছর কেটে গেল। কিন্তু ‘ নিস্পত্তির ‘ গাড়িটা এখনও নিজ গন্তব্যে পৌছতে পারেনি। উভয় শিবিরই ইউএসএ- কে নিজেদের দাবি করলেও সর্বশেষ জিবিতে সুধাংশু দাস ( সভাপতি ) এবং নেপাল সিং ( সচিব ) দের ইউএসএর উপর অনুমোদনের স্বাক্ষর বসায় শিলচর ডিএসএ।বলা বাহুল্য নৈতিক জয়ে মুখে হাসি ফুটে সঞ্জু রায়ের! তবে সঞ্জুর উল্লাসের আকাশের এই ধ্রুবতারা ছিল ক্ষণস্থায়ী। কারণ এই সিদ্ধান্ত পুনরবিবেচনার জন্য সোমবার বাদশা, বাবুল হোড়দের স্মারকপত্র প্রদান করে। ডিএসএ ঝেড়ে না কাশঁলেও উভয় সংকটের ঢেউ যে তাদের অন্দরে উথাল – পাথাল করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে গান্ধীগিরির পথেই হাঁটলেন সঞ্জুরা। কোনো আলোচনা সমালোচনা না করে সরাসরি ডিএসএ – কে ধন্যবাদ জানালেন তারা।
এক প্রেস বার্তায় ইউ এস এ র অনুমোদনপ্রাপ্ত কমিটি বলেছে, ‘ উধারবন্দ ক্রীড়া সংস্থার আলাদা এক ঐতিহ্য রয়েছে। ২০২১ সালে আমাদের এই সংস্থার উপর কালোমেঘ দেখা দিয়েছিল। কিছু লোক আমাদের ডিএসএ অনুমোদিত খেলায় অংশগ্রহণে বাধার সৃষ্টি করেছিল। যার দরুণ এতদ অঞ্চলের খেলোয়াড় এবং খেলাধুলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিবি মিটিংয়ে ইউ এস এ কে কেন ডি এস এএর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছেনা এই প্রশ্ন উত্থাপিত হলে সংস্থা সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং সবিস্তারে সদস্যদের অবগত করালে হাউস সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয় যে, এই অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে এক ৫ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা দিতে। পরবর্তী সময়ে এই কমিটি যথা সময়ে তাদের রিপোর্ট জমা দেন এবং আগের জিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লাস্ট জিবিতে ১০নং এজেন্ডা হিসেবে রাখা হয়, এবং এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাদের কমিটিকে ইউএসএ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এজন্য ডিএসএ -র সভাপতি এবং সচিবের পাশাপাশি প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই । ‘ সেইসঙ্গে ইউএসএ -র ছায়াতলে উধারবন্দের ক্রীড়ার সার্বিক উন্নয়নে সাংসদ রাজদীপ রায়, বিধায়ক মিহির কান্তি সোম, দীপায়ন চক্রবর্তীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
সঞ্জুদের গান্ধীগিরি ইউএসএ-র অপর কমিটির গায়ে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ ডিএসএ অনুমোদন তো পেয়ে গিয়েছে আগের কমিটি। তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন বটে। তবে তা পুরোপুরি ডিএসএর বিবেচনাধীন। তাদের সংবিধান এই বিষয়ে সুজিত কুমার দেব, মৃণাল ভট্টাচাৰ্যদের আবেদনকে পারমিট করবে কিনা সেটাই দেখার। আপাতত পরিষ্কার কিছুই প্রেডিকশন করা সম্ভব নয়।
এদিকে উধারবন্দেরই এক সূত্রের দাবি অনুযায়ী পুরো বিষয়টাই শাসক – বিরোধী রাজনীতির লড়াইর ফসল। আখেরে ক্ষতিটা হচ্ছে খেলাধুলার। সত্যিই তাই ???