অনলাইন ডেস্ক : দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া এবার ত্রিপুরায়। একই কায়দায় ত্রিপুরাতেও গৃহবধূকে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে রহস্যভেদ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, স্থানীয় কচু বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই গৃহবধূর টুকরো টুকরো দেহ। মৃত গৃহবধূ বয়স মাত্র ১৬। অভিযুক্ত স্বামীর নাম কাসেম মিয়াঁ। বেশ কয়েক বছর আগে তনুজা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। এরপরই মর্মান্তিক এই পরিণতি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর কাসেম পুলিশকে ওই কচু বাগানে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো দেহগুলো দেখিয়ে দিয়েছে। নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে সে।
খুনের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে খুন করার পর রাতের অন্ধকারে দেহটি সরানোর জন্য একটি ব্যাগ সংগ্রহ করে কাসেম। কিন্তু একটি ব্যাগে না ঢোকায় মৃতদেহের গলা কেটে নেওয়া হয়। একটি ব্যাগে স্ত্রীর মাথা ও অন্য ব্যাগে দেহ ঢুকিয়ে রাত ১১টায় ঘর থেকে বের হয় কাসেম। একটি ব্যাগ কাঁধে ও আরেকটি ব্যাগ হাতে নিয়ে সুভাষনগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশে কচু বাগানে যায় সে। ব্যাগ দু’টি মাটিতে পুঁতে দেয়।
কাসেম ও তনুজা সুভাষনগরের মুসলিমপাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে অন্য ভাঁড়াটেদের সন্দেহ হয়। তাদের আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা পূর্ব আগরতলা থানায় ঘটনাটি জানায়। পরমুহুর্তেই খবর আসে ঐ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। পুলিশ ছুটে গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ঘরের কাঁথা, দা ইত্যাদি উদ্ধার করে। কিন্তু তাতে রক্তের দাগ ছিল না। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিদ্ধি আশ্রম এলাকা থেকে অভিযুক্ত কাসেম মিয়াঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা জানতে পারে পুলিশ।