অনলাইন ডেস্ক : নেশামুক্ত ভারত গড়ার সঙ্গে শিশু শ্রমিক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জেলাজুড়ে ব্যাপক জনসচেতনতা অভিযান শুরু করেছে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন করিমগঞ্জ নেহরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং বারইগ্রাম খুশি স্মৃতি সংস্থার পরিচালনায় এক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয় বারইগ্রাম শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী এমই স্কুল।এতে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের কর্মকর্তা,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী,আশাকর্মী,বিভিন্ন এসএইচজি-র প্রতিনিধি, জিপি সহ স্থানীয় নাগরিকরা। সোমবার দুপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা ছিলেন টিংকু গুপ্ত।এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রবাল দাস,রাধারমণ গোস্বামী এমই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজীব দে,স্কুল পরিচলন সমিতির সভাপতি রূপেশ নমশূদ্র,বিশিষ্ট শিক্ষক সাহাব উদ্দিন,সিডিপিও মণিদীপা দে,সুপারভাইজার উমা দাস। পৌরোহিত্য করেন হিমানী দত্ত। আলোচনায় অংশ নিয়ে টিংকু গুপ্ত বলেন,বাল্যবিবাহ সমাজের কাছে এক অভিশাপ। এতে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে তিনি এক্ষেত্রে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।তিনি বলেন,বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা খুব প্রশংসনীয়।কিন্তু এ বিষয়ে যদি আগে থেকে সচেতন করে পদক্ষেপ নিলে মানুষ অনেক সচেতন থাকতে পারতেন।তিনি বাল্যবিবাহের কুফলের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন।
সমাজকর্মী প্রবাল দাস মহিলাদের শিক্ষার উপর বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উপস্থিত সবার প্রতি আবেদন জানান।তিনি বলেন,শিক্ষা যদি ঠিক থাকে তা হলে বাল্যবিবাহের প্রতিবাদ করতে হবে না।তাছাড়া একজন মহিলাকে স্বামীর ঘরে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়লে অন্যের উপর নির্ভর থাকতে হবে না।কারণ শিক্ষাই তাকে নিজের পায়ের উপর দাঁড় করাবে। তাই আগে শিক্ষা,পরে বিয়ে।তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের স্বাগত জানান। করিমগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্পাদক অরূপ রায় বলেন,নেশা প্রতিটি ঘরে ঘরে ও সমাজে অশান্তি ছড়াতে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে।এ থেকে নিস্তার পেতে হলে সমাজের প্রত্যেক মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।তিনি বলেন,নেশামুক্ত ভারত গঠন করতে হলে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।কারণ যুবকরাই বেশি নেশার শিকার হচ্ছে।এ নিয়ে যুবকদের ভাবতে হবে।এজন্য আরও সচেতনতা শিবির করতে হবে।যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করার জন্য এভাবে সচেতনতামূলক সভার বিশেষ প্রয়োজন। বর্তমান রাজ্য সরকার বাল্যবিবাহের ওপর যেভাবে অভিযান শুরু করেছে তাতে সমাজে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে জানান তিনি।সিডিপিও মণিদীপা দে বলেন,রাজ্য সরকারের বাল্যবিবাহ রোধে যে অভিযান চালাচ্ছে সেটার প্রভাব অনেকটা পড়েছে সমাজে এতদিন গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকরা বাল্যবিবাহ নিয়ে কর্ণপাত না করলেও এখন প্রত্যেক অভিভাবক অনেক সজাগ হয়েছেন।নেশামুক্ত সমাজ গঠন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানকে সফল করতে সহযোগিতা করেন অজিত দাস,বিকাশ সেন,গীতা দাস,ভাগবত রায়,পূরবী মালাকার,প্রীতম রায় প্রমুখ।