অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী এক্সপ্রেস চালুর কথা জানিয়ে তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে চিঠি লিখেছিলেন ডঃ নাজমা হেপতুল্লা। তখন তিনি ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল। বলা বাহুল্য, ট্রেনটি চালানোর প্রস্তাব ছিল শিলচর থেকে। এরপর বিষয়টি হিমঘরে চলে যায়। এ নিয়ে রেলের তরফে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি। আগরতলা-নয়াদিল্লি রুটে রাজধানী এক্সপ্রেস চালু হলেও বৃহত্তর উপত্যকা এবং মণিপুর ও ত্রিপুরার যাত্রীদের কল্যাণে সেই ট্রেনটি মোটেই যথেষ্ট নয়। এসব বিবেচনা করে এবার শিলচর থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস চালু করার দাবি তুললেন সাংসদ অজিতকুমার ভুঁইয়া। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে মঙ্গলবার পাঠানো এক চিঠিতে রাজ্যসভা সদস্য ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এনার্জি এবং কন্সাল্টেটিভ কমিটি অন ডোনার সদস্য অজিত ভুঁইয়া শিলচর ও নয়াদিল্লির মধ্যে রাজধানী এক্সপ্রেস চালু করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে দক্ষিণ অসম ও মণিপুর এবং মিজোরামের রেল যোগাযোগ সুগম করার আবেদন জানিয়েছেন।
রেলমন্ত্রীর কাছে সাংসদ ভুঁইয়া অপর্যাপ্ত রেল যোগাযোগের দরুন বরাক উপত্যকার মানুষের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করেন ওই চিঠিতে। তিনি বলেন, দুর্বল রেল যোগাযোগের ফলে দুর্ভোগের শিকার যাত্রীদের যাতায়াতের পথ সহজ ও সুগম করার জন্য শিলচর থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস চালু করার দাবি বহুদিনের। শিলচর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস চালু হলে কেবল বরাক উপত্যকা নয়, দক্ষিণ অসম সহ প্রতিবেশী মণিপুর, মিজোরামের যাত্রীরা লাভবান হবেন এবং এর ফলে এই অঞ্চলের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে বলে রেলমন্ত্রীকে চিঠিতে জানান সাংসদ ভুঁইয়া। তিনি বলেন, রাজধানী এক্সপ্রেস সাধারণত দেশ ও রাজ্যের রাজধানীর মধ্যে চলাচল করলেও অসমের ক্ষেত্রে এই ট্রেন চালু রয়েছে দুটি। উভয় ট্রেনই চালু রয়েছে ডিব্রুগড় পর্যন্ত। তাই তাঁর পরামর্শ হল, এই দুটি ট্রেনের একটি শিলচর পর্যন্ত স্থানান্তর করা যেতে পারে। তা নাহলে বিকল্প হিসেবে ইম্ফলের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের স্বার্থে নয়া রাজধানী এক্সপ্রেস চালু করলে মণিপুর সহ এই এলাকার যাত্রীদের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। এ বিষয়ে মণিপুরের প্রাক্তন রাজ্যপাল ডঃ নাজমা হেপতুল্লা তাঁর ক্ষমতাবলে তদানীন্তন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে চিঠি লেখেন। অজিতকুমার ভুঁইয়া তাঁর চিঠির সঙ্গে হেপতুল্লার সেই চিঠির প্রতিলিপিও পাঠান বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে।
চিঠিতে ভুঁইয়া প্রতিবেশী অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে দক্ষিণ অসম ও মিজোরামের মানুষের রেল যোগাযোগের করুণ দশার কথা উল্লেখ করে্ন। তিনি বরাক উপত্যকা ও মিজোরামের যাত্রীদের অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগে যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, সেটা উল্লেখ করেন। বলেন, বর্তমানে লামডিং হয়ে অরুণাচল প্রদেশের নাহারলাগান ও নাগাল্যান্ডের শখুভি দনি পলো এক্সপ্রেস নামে একটি দৈনিক ট্রেন চলাচল করছে। দক্ষিণ অসম ও মিজোরামের যাত্রীদের এই ট্রেনের সওয়ার হতে লামডিং স্টেশনে উঠতে হবে। আর শিলচর শিলচর থেকে লামডিঙের দূরত্ব ২০০ কিমি-রও বেশি। বিষয়টি বিবেচনা করে দনি পলো এক্সপ্রেসকে সপ্তাহে ৪ দিন লামডিং হয়ে শিলচর পর্যন্ত চালু করা ও বাকি ৩ দিন বর্তমানের রুট অর্থাৎ নাগাল্যান্ডের শখুভি অবধি বহাল রাখার কথা বিবেচনা করার আবেদন জানান রেল মন্ত্রীর কাছে।