অনলাইন ডেস্ক : হুমকির মুখে হারাং নদীর উপর থাকা ভেউয়ারপারের সেতু। যে কোনও সময় এই সেতু ভেঙে অঘটন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর বেরোনোর পর দিনকয়েক বেহাল সেতুতে সতর্কীকরণ হিসেবে লাল নিশানা লাগিয়ে রাখা হলেও এসময় আর এটা নেই। অথচ ভেঙে পড়ার ভয় নিয়েও সেতুর উপর দিয়ে অবাধে চলছে ভারি যানবাহন। ফলে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাণ্ডজ্ঞানহীন ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। উল্লেখ্য,শিলচর-কালাইন সড়কের ভাঙ্গারপার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ভেউয়ারপারে হারাং নদীর উপর থাকা নড়েবড়ে সেতু নিয়েই এলাকার জনগণ ক্ষোভে ফুঁসছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ,প্রায় দেড় মাস আগে সেতুতে ক্র্যাক ধরার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এরপর দিনকয়েক সেতুর উপর সতর্কতামূলক সঙ্কেত লাগানো ছাড়াআজ অবধি বেহাল অবস্থা সংস্কারে হাত লাগাতে পারেনি বিভাগ। অথচ প্রতিদিন শিলচর-গুয়াহাটি,মণিপুরগামী মালবোঝাই ভারি যানবাহন ছাড়াও হাজার হাজার যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করছে কালাইন-শিলচর সড়ক দিয়ে। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে সেতুতে চিড় ধরার ঘটনা দেখেও না দেখার বাহানা করছেন বিভাগীয় কর্তারা। এবার সেতুটির অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় ভাঙ্গারপার সহানুভূতি সংস্থার সম্পাদক নজরুল হক লস্কর,মওলানা হোসাইন আহমদ এবং যুববন্ধু ক্লাবের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন,চিড় ধরা সেতুর উপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলছে। যদি কোনও দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় তাহলে এজন্য দায়ী কে থাকবে? তাই অবিলম্বে সেতুটির সংস্কারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কাছাড়ের জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। সেইসঙ্গে আগামী দু’দিনের মধ্যে সেতু সংস্কারে হাত দেওয়া না হলে সড়ক অবরোধ সহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা। তবে শুধু ভেউয়ারপার নয় এই সড়কের বড়যাত্রাপুর জিপির হিয়ারাপার সেতু র্যালিং ভেঙে সেতুর উপর পড়ে রয়েছে। এভাবে যদি পথচারীদের উপর র্যালিং খসে পড়ে তবে অঘটন নিশ্চিত। এছাড়া সরকারের সামগ্রী ভেঙে রাজপথে পড়ে থাকলেও এসব বিষয়ে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সামান্যতম নজর না থাকা নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে জনমনে।