সাময়িক প্রসঙ্গ, শিলচর, ২৬ ডিসেম্বর : বেহাল অবস্থা শিলচর-কালাইন (Silchar-Kalain) সড়কের।এতে যাতায়াতের সময় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় লোকদের। এমন যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পেতে সোমবার শিলচর রায়গড় এলাকায় সড়কের উপর গড়ে তোলা হল অবরোধ। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে চলার পর পূর্ত বিভাগের তরফে রাস্তার কাজ শুরুর ব্যাপারে লিখিত আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
সড়কটির শিলচর তারাপুর-শিববাড়ি রোড থেকে মজুমদার বাজার পর্যন্ত অংশের হাল গত কয়েক মাস ধরেই বেহাল৷এমনিতেই এই অংশের হাল ছিল খারাপ, এর উপর মাস কয়েক আগে কাজের নামে খোঁড়াখোড়ি করে এমনিতেই ফেলে রাখা হয়। এতে এই অংশ যেন পরিণত হয় খোয়াড়ে। মাঝে মাঝেই বড় বড় গর্ত সঙ্গে ধুলোর ঝড়। পাইওনিয়ার ক্লাব সহ অন্যান্য বহু সংস্থা সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই অবস্থায় এদিন পাইওনিয়ার ক্লাবের পক্ষ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রায়গড়ে শুরু করা হয় অবরোধ। ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি এতে সামিল হন আশপাশ এলাকার বহু লোক। এতে দুদিকে আটকা পড়ে বহু যানবাহন। অবরোধে সামিল হতে দেখা যায় ক্লাবের সভাপতি কুমুদ সিনহা, সম্পাদক মান্না চন্দ, এলাকার বাসিন্দা বীণাপাণি নাথ, গৌরব নাথ ও নির্মলকুমার দাস সহ অন্যান্যদের। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় সেখানে গিয়ে অবরোধে সামিল হয়েছেন জেলা কংগ্রেস (District Congress) সভাপতি তমালকান্তি বনিক এবং শহর কংগ্রেসের সভাপতি অতনু ভট্টাচার্যরাও।
অবরোধে সড়কটি স্তব্ধ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে হাজির হন প্রশাসন এবং পূর্ত (সড়ক) বিভাগের কর্মকর্তারা। ছুটে যায় পুলিশও। দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা শেষে দুপুর দুটো নাগাদ পূর্ত (সড়ক) বিভাগের বাস্তুকার সাহাবুদ্দিন লস্কর লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন যে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শুরু করা হবে রাস্তার সংস্কারের কাজ। আর কাজ শুরুর আগে পর্যন্ত, ধুলোঝড় ঠেকাতে প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে দুবার রাস্তায় ছিটানো হবে জল। এমন প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা আরও শর্ত জুড়ে দেন, ব্লক বসিয়ে নয়, কাজ হতে হবে পিচ দিয়ে। এছাড়া রাস্তার পাশে স্ল্যাব বসানোরও দাবি জানান তারা। প্রশাসনিক এবং পূর্ত বিভাগের কর্তারা এতেও সায় দেন। এরপর প্রত্যাহার করা হয় অবরোধ। অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না হলে ভবিষ্যতে তারা গড়ে তুলবেন আরও তীব্র আন্দোলন।