অনলাইন ডেস্ক : শিলচরে ফের গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক পুলিশ কর্মী। ঈশ্বর সিনহা (৫১) নামে ল্যান্স নায়েক পদমর্যাদার এই পুলিশ কর্মী কর্মরত ছিলেন আবর্ত ভবনে। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আবর্ত ভবনের ব্যারাকে নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে তিনি আত্মঘাতী হন। এর আগে ২০২২ সালের ২১ মার্চ শিলচর সদর থানায় একইভাবে সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন গৌরবিধূ সিংহ নামে পুলিশের এক এ এস আই। গৌরবিধূ আত্মঘাতী হওয়ার পর অনুমান করা হচ্ছিল, এর পেছনে রয়েছে কাজের চাপ। তবে এবার ঈশ্বর সিনহা আত্মঘাতী হওয়ার পর, কারণ নিয়ে কেউই কোনও আভাস দিতে পারছেন না।
জানা গেছে ঈশ্বর সিনহা মূলত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি থানা এলাকার নেতাজীনগরের বাসিন্দা। আবর্ত ভবনে তার বদলি হয় মাস তিনেক আগে।কাজের সূত্রে তিনি থাকতেন শিলচর ভকতপুর এলাকায় ভাড়াবাড়িতে। সহকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বর এদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবর্ত ভবনের গেটে ডিউটিতে ছিলেন। ডিউটি শেষ হওয়ার পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ব্যারাকে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ঘটে যায় ঘটনাটা। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনে তারা ব্যারাকে ছুটে গিয়ে দেখেন ঈশ্বর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিছানার উপর। তার সার্ভিস রাইফেল পড়েছিল নিচে। গুলি তার তালু ফুড়ে বেরিয়ে গেছে মাথার উপর দিয়ে। এ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, মুখের ভেতর রাইফেলের নল ঢুকিয়ে তিনি গুলি চালিয়ে দেন।
ঘটনার পর খবর পেয়ে আবর্ত ভবনে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত সেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দমন) আর শীতল কুমার সহ বাহিনীর অন্যান্য আধিকারিকরা। ঈশ্বর সিনহাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মেডিকেলে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ঈশ্বর সিনহার সার্ভিস রাইফেল সহ খালি কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া “সিল” করা হয়েছে ব্যারাক। তিনি কেন এভাবে আত্মঘাতী হলেন বর্তমানে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।