অনলাইন ডেস্ক : যুবতীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগকে ঘিরে মঙ্গলবার শিলচর ন্যাশনাল হাইওয়ে মোড়ে পুলিশ পেট্রোল পোষ্টের কাছে ঘটে যায় ধন্দুমার কান্ড । যুবককে আটকে পুলিশে সমঝে দেওয়ার পাশাপাশি জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তার বাইক।
সাহেদ হোসেন বড়ভূঁইয়া নামে ওই যুবক কাঠাল রোডের বাসিন্দা। এদিন দুপুরে ন্যাশনাল হাইওয়ে পুলিশ পেট্রোল পোস্টের কাছে সে এক ভিন্নধর্মী যুবতীকে অপহরণের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ।তখন তাকে পাকড়াও করেন
এলাকার লোকেরা। এতে সামিল হন বজরং দলের কিছু সদস্যও। সাহেদকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে সমঝে দেওয়া হয় ন্যাশনাল হাইওয়ে পেট্রোল পোস্ট পুলিশের কাছে। এসবের মাঝে একদল উত্তেজিত লোক তার বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে বাইকটি সম্পূর্ন ভষ্মীভূত হয়ে যায়।
ঘটনার সময় ন্যাশনাল হাইওয়ে পেট্রোল পোষ্টের পুলিশ কর্মীরা সেখানে উপস্থিত থাকলেও সংখ্যায় কম হওয়ার দরুন বিশাল সংখ্যক উত্তেজিত লোকেদের নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত সেন এবং সদর থানার ওসি অমৃত কুমার সিং সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এতে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এরপর সাহেদকে পুলিশ পেট্রোল পোস্ট থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র।
ন্যাশনাল হাইওয়ে এলাকার যে যুবতীকে সাহেদ অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার ভাই এ নিয়ে দায়ের করেছেন এজাহার। ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী, সাহেদ নিজের আসল নাম ও পরিচয় লুকিয়ে যুবতীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিল। পরবর্তীতে তার বোন সাহেদের পরিচয় জানার পর সম্পর্কে ইতি টেনে দিলেও সাহেদ পিছু ছাড়তে রাজি ছিল না।মোবাইলে ফোন করে বা রাস্তায় একা পেলেই তার বোনকে অপহরণ করবে বলে হুমকি দিতে শুরু করে সাহেদ। মঙ্গলবার দুপুর ২টা নাগাদ যুবতী বাড়ির অদূরে একটি দোকান থেকে কিছু জিনিসপত্র কিনে আনতে গেলে সাহেদ তাকে রাস্তায় আটকে হাত ধরে টানাটানি করে।এতে যুবতী চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকেরা সাহেদকে ধরে পুলিশের কাছে সমঝে দেন।
বজরং দলের কর্মকর্তা মিঠুন নাথ ও চিরঞ্জিত সিং বলেন, ঘটনাটা লাভ জিহাদ। বরাক উপত্যকায় সাম্প্রতিককালে এ ধরনের ঘটনা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে বলে উল্লেখ করে তারা তা প্রতিরোধে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান। মিঠুন ও চিরঞ্জিত সঙ্গে দাবী করেন, বাইকে অগ্নি সংযোগের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কেউ জড়িত নন।
এদিকে সাহেদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে,যুবতীকে মোটেই অপহরণের চেষ্টা চালানো হয়নি।বন্ধুত্বের সুবাদে সে যুবতীকে নিয়ে বাইকে চড়ে যাচ্ছিল।তখন কিছু লোক তাকে আটকে মারধর করে বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে সাহেদকে আটক করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এছাড়া বাইকে কারা অগ্নি সংযোগ করেছে এনিয়েও খোঁজ খবর চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সূত্রটি।