অনলাইন ডেস্ক : যুবকের বেপরোয়া বাইক চালনার বলি হলেন বিএসএনএল -এর প্রাক্তন আধিকারিক। রবিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে শিলচর তারাপুর শিববাড়ি রোডে এস এস রাইস মিলের সামনে। হত প্রিয়রঞ্জন চন্দ ওরফে বাপি (৫৭) ছিলেন মূলত শিববাড়ি রোডের শ্রীদুর্গা সরনীর বাসিন্দা। তবে কিছুদিন ধরে ভাড়ায় ছিলেন তারাপুরেই কালী মোহন রোডের এক ফ্ল্যাটে।
প্রিয়রঞ্জনের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গেছে, শ্রী দুর্গা সরণির মূল বাড়িতে বর্তমানে নির্মাণ কাজ চলছে। তাই তিনি ভাড়ায় থাকতেন কালীমোহন রোডে এক ফ্ল্যাটে । কালী মোহন রোডে থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই শিববাড়ি রোডে যেতেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যেতেন। রবিবার রাতেও সেখানে যাওয়ার পর গাড়ি পার্ক করে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময়ই একটি বাইক দ্রুতগতিতে এসে তাকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মেরে বাইকটি তাকে কয়েক মিটার ঘষটে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।
প্রিয়রঞ্জনের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, যে বাইকের ধাক্কায় তার মৃত্যু ঘটেছে সেই বাইক চালাচ্ছিল এলাকার সুকান্ত লেনের দাস পদবীর এক যুবক। ঘটনার পর যুবকটিকে ধরে স্থানীয় উত্তেজিত লোকেরা উত্তম মাধ্যম দেন। তবে এরই মাঝে সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
প্রিয়রঞ্জন সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি বছর কয়েক আগে বিএসএনএল-এর এসডিই (আই টি) পদ থেকে স্বেচ্ছাবসর নেন। তিনি রেখে গেছেন বৃদ্ধা মা, পত্নী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে। ছেলে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত, মেয়ে গুয়াহাটিতে। ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার ছেলে ও মেয়ে শিলচরে এসে পৌঁছান। ময়নাতদন্তের পর এদিন শ্মশান ঘাটে তার মৃতদেহের অন্তিম সংস্কার করা হয়।
প্রসঙ্গত বছর কয়েক আগে, এক যান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে প্রিয়রঞ্জন বাবুর ভাই ববি চন্দের। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, প্রিয়রঞ্জন বাবু ছিলেন খুবই পরোপকারী। অন্যান্যদের সহায়তায় সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। তার মৃত্যুতে পরিচিত মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।