অনলাইন ডেস্ক : গত বছর শীতের মরশুমে শিলচরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটিয়ে গোটা শিলচর শহরকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল এক অর্ধনগ্ন চোর । এবার শহরে ফের ওই চোরের সক্রিয় হওয়ার প্রমাণ মিলছে । তবে এবার চোর মহাশয় আর একা নয়, তার সঙ্গে আরও দুজনের উপস্থিতির প্রমাণ মিলছে। এতে পুজোর মাঝে শহরে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের।
টিকরবস্তি এলাকার বাসিন্দা দাস পদবীর এক ব্যক্তির বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে গভীর রাতে তিনজনের গতিবিধি। গত বছরের রেকর্ডের ভিত্তিতে এদের চোর বলে ধরে নেওয়া হলেও সিসিটিভির ফুটেজে তাদের গতিবিধি দেখে মনে হয়েছে প্রয়োজন হলে তারা ডাকাতিতেও পিছিয়ে থাকবে না। সুঠামদেহি তিনজনেরই শরীরের উপরের অংশ অনাবৃত আর মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা। ফুটের দেখে মনে হয়েছে তিনজনের মধ্যে দুজনের কোমরে গোঁজা রয়েছে পিস্তল, তৃতীয় জনের ভোজালি।সিসিটিভির ফুটেজে এই দৃশ্য ধরা পড়ার পর দাসবাবু তা ফেসবুকে আপলোড করে শহরবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত বছর শীতের মরশুমে শহরে একের পর এক চুরির ঘটনার সূত্র ধরে বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছিল উঁচু উঁচু দেওয়াল ও ইমারতে তরতরিয়ে বেয়ে ওঠার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন”স্পাইডারম্যান”-সম এক চোরের গতিবিধি। প্রচন্ড শীতের মাঝে একইভাবে শরীরের উর্ধাংশ অনাবৃত রেখে অভিযানে নামা ওই চোরের কোমরে গোঁজা থাকতো ভোজালি। একের পর এক তার অভিযানের কথা জন মানসে ছড়িয়ে পড়ার পর
তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। পুরানো রেকর্ড থাকা শহর ও শহরের আশপাশ এলাকার অনেক দাগী চোরকে পাকড়াও করে জেলে পুরা হয়। যদিও যারা ধরা পড়েছিল তাদের শরীরের গঠন দেখে মনে হয়েছে, “স্পাইডারম্যান”সম ত্রাস সৃষ্টিকারী চোর হয়তো থেকে গিয়েছিল নাগালের বাইরে।তবে সে যাই হোক পুলিশ এভাবে সক্রিয় হয়ে ধরপাকড় করার পর বেশকিছুদিন সেই চোরের আর তৎপরতা টের পাওয়া যায়নি। খুব সম্ভবত ধরপাকড় শুরু হওয়ায় ভয়
পেয়ে সে গুটিয়ে নিয়েছিল নিজেকে। এতে শহরে নেমে এসেছিল কিছুটা স্বস্তির হাওয়া। এবার যে তিনজনের ছবি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, তা থেকে মনে হচ্ছে এদের মধ্যে একজন সেই গত বছরের চোর। এবার সে সঙ্গে আরও দুজনকে নিয়ে সক্রিয় হয়েছে । এতে শহরজুড়ে ছেয়ে বসেছে আতঙ্ক।
এ নিয়ে পুলিশের এক সূত্র জানান,ব্যাপারটা তাদের নজরে এসেছে। শুরু হয়েছে খোঁজখবর ও সতর্ক নজরদারি।