অনলাইন ডেস্ক : একেবারে নিখুঁত ইউনিফর্ম ও জুতো। বেশভূষা দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই যে যুবকটি নকল পুলিশ। করিমগঞ্জ প্যাটেল নগর এলাকার বাসিন্দা শ্রীনাথ শীল (২৮) নামে পুলিশের এই ভুয়ো এএসআই-কে শিলচর তারাপুর রেল স্টেশন এলাকা থেকে পাকড়াও করলো জিআরপি।
জানা গেছে এএসআই স্তরের পুলিশ কর্মীর ইউনিফর্ম পরে শ্রীনাথ মঙ্গলবার রেল স্টেশনের সামনের এলাকায় পার্কিং করে রাখা বিভিন্ন গাড়ির চালকদের সঙ্গে গাড়ি অধিগ্রহণ নিয়ে কথাবার্তা বলছিল। তখন সন্দেহ হওয়ায় জিআরপি তাকে আটক করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে পড়ে সে আদতে এক ভূয়ো পুলিশকর্মী।
শ্রীনাথকে গ্রেফতারের পর বুধবার জিআরপির পক্ষ থেকে তাকে আদালতে পেশ করা হয়। জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবারই প্রথম নয় এর আগেও কয়েকদিন সন্দেহভাজন এক এএসআই স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ বিভাগের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের জন্য প্রয়োজন বলে গাড়ি অধিগ্রহণ করতে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন বলে তাদের কাছে খবর ছিল। তাই তারা সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছিলেন। আর মঙ্গলবার শ্রীনাথকে হাতেনাথে পাকড়াও করা হয়।
জিআরপির সূত্রটি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে শ্রীনাথ তথ্য দিয়েছে,সে বেশ কিছুদিন গুয়াহাটিতে হোটেলে কাজ করতো। হোটেলে কাজ করতে করতেই সে গুয়াহাটি পানবাজার এলাকার দমকল কেন্দ্রে বিভাগীয় গাড়ি ধোঁয়ামোছার কাজ করতো। এই কাজ করতে করতেই একদিন বাড়ির লোকেদের জানায় সে দমকল বিভাগে চাকরি পেয়ে গেছে। বাড়ির লোকেরা জানতেন গুয়াহাটিতে দমকল বিভাগে চাকরি পেয়ে সেখানে কাজ করছে সে। কিন্তু মাস দুয়েক আগে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যে, গুয়াহাটিতে হোটেলের কাজ ছেড়ে তাকে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। আগে বলেছিল দমকল বাহিনীতে চাকরি পেয়ে গেছে, এই অবস্থায় এমনিতেই বাড়ি ফিরে আসলে
কি জবাব দেবে সে, এসব ভেবে গুয়াহাটিতে পুলিশের পোশাক তৈরি করায়। বাড়ি ফিরে তা দেখিয়ে জানায় তার এখানে বদলি হয়ে গেছে। আর বাড়ির লোকেদের কাছে ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে মাঝে মাঝেই পুলিশের সেই পোশাক পরে বের হতো বাইরে। মঙ্গলবার শিলচর রেল স্টেশনের সামনে এসে নেহাতই সময় কাটানোর জন্য গাড়ি অধিগ্রহণ নিয়ে চালকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিল।
শ্রীনাথ এভাবে বয়ান দিলেও জিআরপি তা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে চাইছে না। অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো অধিগ্রহণের নামে গাড়ি নিয়ে ছিনতাইয়ের এর উদ্দেশ্য ছিল তার। এবং এক্ষেত্রে তার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে আরও লোক।