অনলাইন ডেস্ক : রহস্যজনক মৃত্যু ঘটলো গৃহবধূর। শতাব্দী দাস (২৫) নামে শিলচর রাধা মাধব রোডের বাসিন্দা গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে তার স্বামী জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের কর্মী দেবজিৎ দাস (৩০) এবং শাশুড়ি অঞ্জনা দাস (৫৫) কে।
শতাব্দীর বাবার বাড়ি শহর সংলগ্ন দুধ পাতিল এলাকায়। বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। জানা গেছে বছর চারেক আগে শতাব্দীর সঙ্গে বিয়ে হয় দেবজিতের। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। এর আগে দেবজিতের আরও দুবার বিয়ে হয়েছিল। তবে সেই দুই পত্নীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দেবজিৎরা রাধামাধব রোডের এক বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন।
শতাব্দীর বাবার বাড়ি শহর সংলগ্ন দুধ পাতিল এলাকায়। বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। জানা গেছে বছর চারেক আগে শতাব্দীর সঙ্গে বিয়ে হয় দেবজিতের। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। এর আগে দেবজিতের আরও দুবার বিয়ে হয়েছিল। তবে সেই দুই পত্নীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দেবজিৎরা রাধামাধব রোডের এক বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন।
মঙ্গলবার রাতে দেবজিত ও তার পরিজনরা শতাব্দীকে অচেতন অবস্থায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা শতাব্দীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা নিয়ে দেবজিতের মা অঞ্জনা দাসের বক্তব্য, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ তার সঙ্গে শতাব্দীর কিছুটা কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় দেবজিৎ ছিলেন ডিউটিতে। কথা কাটাকাটির পর অবশ্য শতাব্দি স্বাভাবিকভাবেই নিজের সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি নিজেও চা তৈরি করে খান। এর কিছুক্ষণ পর চলে যান বহুতল ভবনের ছাদে। গরমের দিন তাই গায়ে হাওয়া লাগাতে ছাদে গেছেন ভেবে তিনি ও তাদের সঙ্গে থাকা তার বোন সিন্ধু দেব (দেবজিতের মাসি) অন্য কিছু ভাবেন নি। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ডিউটি সেরে দেবজিত ফ্ল্যাটে ফেরেন। তখনও শতাব্দি ছিলেন ছাদে। দেবজিৎ ফেরার অনেকক্ষণ পরও শতাব্দিকে ছাদ থেকে নেমে আসতে না দেখে তার বোন সিন্ধু দেব ছাদে তাকে ডাকতে যান। সিন্ধু ডেকে আসার কিছুক্ষণ পরই নেমে আসেন শতাব্দী। কিন্তু ফ্ল্যাটে ঢুকেই বলতে থাকেন তার অস্বস্তি করছে। তার শারীরিক অবস্থা দেখে তারা প্রাথমিকভাবে শুশ্রষা করার পরও যখন দেখেন অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না তখন অন্যান্যদের ডেকে তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। মেডিকালে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই তার মৃত্যু ঘটে। অঞ্জনা দাস অনুমান ব্যক্ত করেন, খুব সম্ভবত ছাদে গিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার জন্য বিষ জাতীয় কিছু খেয়েছিলেন শতাব্দী।
যদিও শতাব্দীর বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তার বাবা রজত কান্তি দেব, মা এবং বোন অভিযোগ করেন, দেবজিৎ মদ ও জুয়ায় আসক্ত। প্রায়ই তিনি শতাব্দীকে মারপিট করতেন। শুধু দেবজিতই নয় শাশুড়ি অঞ্জনা দাসও প্রায়ই মারপিট করতেন শতাব্দীকে। তাদের কথায় শতাব্দি বিষ জাতীয় কিছু পান করে আত্মঘাতী হয়েছেন এ কথা সম্পূর্ন মিথ্যা। তারা নিশ্চিত তাকে মারপিট করে মেরে ফেলা হয়েছে। তারা আরও জানান, দেবজিৎ আগে দুবার বিয়ে করলেও তৃতীয় দফায় শতাব্দীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছেন। এই বিয়েতে তাদের আপত্তি ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির চাপে মেনে নিতে বাধ্য হন।
পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছেন, ঘটনাটা আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই তা বুঝা যাবে। তবে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে এবং শতাব্দীর বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেবজিত ও তার মা অঞ্জনা দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
যদিও শতাব্দীর বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তার বাবা রজত কান্তি দেব, মা এবং বোন অভিযোগ করেন, দেবজিৎ মদ ও জুয়ায় আসক্ত। প্রায়ই তিনি শতাব্দীকে মারপিট করতেন। শুধু দেবজিতই নয় শাশুড়ি অঞ্জনা দাসও প্রায়ই মারপিট করতেন শতাব্দীকে। তাদের কথায় শতাব্দি বিষ জাতীয় কিছু পান করে আত্মঘাতী হয়েছেন এ কথা সম্পূর্ন মিথ্যা। তারা নিশ্চিত তাকে মারপিট করে মেরে ফেলা হয়েছে। তারা আরও জানান, দেবজিৎ আগে দুবার বিয়ে করলেও তৃতীয় দফায় শতাব্দীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছেন। এই বিয়েতে তাদের আপত্তি ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির চাপে মেনে নিতে বাধ্য হন।
পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছেন, ঘটনাটা আত্মহত্যা না হত্যাকাণ্ড, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই তা বুঝা যাবে। তবে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে এবং শতাব্দীর বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেবজিত ও তার মা অঞ্জনা দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।