অনলাইন ডেস্ক : কাসা ও তামার প্রচুর পরিমাণ বাসনপত্র ও মন্দিরে ব্যবহৃত পূজার সামগ্রী, সঙ্গে পাওয়া গেছে ৮টি মোবাইল, লেন্স সহ একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং একটি ভিডিও ক্যামেরা। সব মিলিয়ে উদ্ধার করা সামগ্রীর মূল্য পাঁচ লক্ষাধিক টাকা। এক চোরচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে শিলচর পুলিশ এসব উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছে চারজনকে। ধৃতদের মধ্যে দুজন কাজ করে চোরচক্রের সমন্বয়ক-সওদাগর হিসেবে। বাকি দুজন সরাসরি ময়দানে নেমে হাতপাকানো চোর।
গ্রেফতার হওয়া চারজন হল শহরের আশ্রম রোড এলাকার বাপন সরকার ও মধুরবন্দ চিরুয়ার আরিফ উদ্দিন লস্কর এবং আশ্রম রোডেরই সুজিত দাস ও চন্দন দাস। পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো জানিয়েছেন , শহরে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন চুরির ঘটনার তদন্ত নেমে প্রথম সন্ধান মিলে বাপন ও আরিফের। উদ্ধার হওয়া চুরির সামগ্রী তারা লুকিয়ে রেখেছিল মধুর বন্দ এলাকার একটি ঘরে। এই দুজন কাজ করে চরচক্রের সমন্বয়ক-সওদাগর হিসেবে। সুজিত ও চন্দন সরাসরি যুক্ত চুরির সঙ্গে। সুজিত ও চন্দনদের মতো চোররা ময়দানে নেমে চুরি করে নিয়ে আসে বিভিন্ন সামগ্রী। এরপর এসব জমা করে থাকে বাপন ও আরিফদের কাছে। বাপন ও আরিফরা বেশ কিছুদিন ধরে চুরির সামগ্রী জমিয়ে রেখে এসব বিক্রী করে অর্থ সংগ্রহের পর ভাগবাটোয়ারা করে নেয় চক্রের সবাই মিলে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রথমত বাপন ও আরিফকে আটক করার পর মধুরবন্দ এলাকায় তাদের ঠেক থেকে উদ্ধার করা হয় চুরির সামগ্রী। তাদের সূত্রে জানা যায় চন্দন ও সুজিতের কথা। চন্দন ও সুজিতের মতো আরও কয়েকজন চোর রয়েছে যারা কাজ করে থাকে বাপন ও আরিফের অধীনে। চুরির ক্ষেত্রে বাপন ও আরিফ দিকনির্দেশ করে থাকে চন্দন ও সুজিতের মতো চোরদের।
পুলিশ সুপার জানান, শহরে ইদানিংকালে কিছু চুরির ঘটনার দিকে লক্ষ্য রেখে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সেনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় এক টাস্ক ফোর্স। এই টাস্ক ফোর্সের অভিযানেই ধরা পড়েছে বাপনরা। বর্তমানে তাদের চক্রে অন্যান্য যারা জড়িত রয়েছে এদেরও খোঁজ চলছে।