অনলাইন ডেস্ক : ঐতিহাসিক ভারত ছাড়ো আন্দোলনের অমর শহীদ বীরাঙ্গনা কনকলতা বরুয়ার ৮২ তম আত্মবলিদান দিবস সারা রাজ্যের সাথে শিলচরেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় ছাত্ৰ সংগঠন এআইডিএসও, মহিলা সংগঠন এআইএমএসএস, যুব সংগঠন এআইডিওয়াইও এবং কিশোর কিশোরী সংগঠন কমসোমল এর যৌথ উদ্যোগে।
এই উপলক্ষ্যে বুধবার শহীদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে সকাল ৮টায় কনকলতার প্রতিকৃতি স্থাপন করে সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এআইডিএসও’র জেলা সম্পাদক গৌরচন্দ্র দাস, এআইডিওয়াইও’র জেলা সম্পাদক বিজিত কুমার সিংহ, এআইএমএসএস এর জেলা সম্পাদক দুলালী গাঙ্গুলি প্রমুখ বলেন, ১৯৪২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভারতের ইতিহাসের একটি অতি গুরুত্বপূৰ্ণ দিন। শহীদ কনকলতা মাত্র সতেরো বছর বয়সে পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনে এবং কোটি কোটি নিপিড়ীত জনসাধারণের মুক্তির স্বাৰ্থে মৃত্যুবাহিনীতে নাম লিখিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালের ঐতিহাসিক ভারত ছাড়ো আন্দোলনের আপসহীন সৈনিক হিসেবে গহপুর থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
তারা বলেন কনকলতার মতো হাজার হাজার শহীদ সেই সময় বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে ব্যক্তি স্বাৰ্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বৃহত্তর সামাজিক স্বাৰ্থে হাসি মুখে স্বাধীনতার বেদীতে প্রাণ বিসর্জন দেন। যে স্বপ্ন নিয়ে কনকলতার মতো হাজার হাজার শহীদ প্রাণের আহুতি দিয়েছিলেন সেই স্বপ্ন আজও পুরণ হয়নি। আজ চারদিকে অভাব-অনটন, নীতি নৈতিকতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধৰ্ষণ-হত্যা, মদ-ড্ৰাগসের অবাধ প্ৰচলন, দুৰ্নীতি- ভ্রষ্টাচার সমাজ জীবনে চরম অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তাই এর বিরুদ্ধে কনকলতা, কুশল কোঁওর, নেতাজী, ভগৎ সিং, জ্যোতিপ্ৰসাদ প্ৰমুখ মহান বিপ্লবীদের চিন্তার প্ৰাসংগিকতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা ছাত্র, যুব, মহিলা ও কিশোর কিশোরীদের কনকলতার আদর্শ চর্চা করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।