অনলাইন ডেস্ক : একটি অল্টো গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন বাইক চালক মিহিরকান্তি দাস। সঙ্গে জখম হয়েছেন তাঁর বছর পনেরর এক কন্যা। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে লালার লালাপুর বাইপাস এলাকায়।এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ লালা শহরের এস এস সরনি রোড হয়ে চন্দ্রপুর প্রথম খন্ডের বাড়িতে ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মিহির দাস (৬১) এবং তাঁর কন্যা পায়েল দাস (১৫)। জানা গেছে, মিহিরকান্তি দাস বাইক নিয়ে জাতীয় সড়কে উঠতেই হাইলাকান্দি থেকে কাটলিছড়া গামী একটি দ্রুতগতির অল্টো নং এ এস ১১ ই ৬৫১১ তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে তিনি ও তাঁর কন্যা ছিটকে পাশের ধানক্ষেতের মাঠে গিয়ে পড়েন। তাঁর এ এস ২৪ এ ২৪৯৩ নম্বরের মোটর বাইক টি দুমড়ে মুচড়ে পাশের ধানক্ষেতে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে পিতা ও কন্যাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে লালা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তাদের অবস্থা গুরুতর থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মিহিরকান্তি দাস ও তার কন্যা পায়েল দাস গুরুতর আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই লালাপুর, চন্দ্রপুর এলাকার যুবক সহ জনসাধারণ ছুটে এসে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। লালাপুর বাইপাস সংলগ্ন সড়কে অবরোধ গড়ে তুলেন। ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বিক্ষুদ্ধ জনতা । ফলে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এই খবরে লালা থানার ওসি জয়শংকর ওয়ারি, আব্দুল্লাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ বিপ্লব নাথ, লালার ট্রাফিক পুলিশ, ব্যাটেলিয়ন জওয়ান সহ সার্কল অফিসার জিন্টু বরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সার্কল অফিসার জিন্টু বরা আন্দোলনকারী নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। সার্কল এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সার্কল অফিসার জিন্টু বরার প্রতিশ্রুতি পেয়ে
এদিন বিকেলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।