অনলাইন ডেস্ক : অসমে ১৩৪ জন ছেলে এবং ২৯৭৮ জন মেয়ের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহের মামলা রুজু হয়েছে। সোমবার বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন সংসদীয় মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা। অসম বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন প্রশ্নোত্তর পর্বে বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত এক লিখিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সংসদীয় মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা আরও বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬-এর অধীনে মোট ৪,০৪৯ জন এবং ২০১২ সাল থেকে শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা আইন, ২০১২-এর অধীনে ৮,৯০৮ জন পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে মোট গ্রেফতারকৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৭৭৩ জন। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া ৪৯৪ জনকে দোষী বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে এই মামলায় মোট ৬,১৭৪ জনকে আসামি করা হলেও তারা জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডলের বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬ এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা আইন, ২০১২ সম্পর্কে গৃহ দফতরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। গৃহ দফতরের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার তরফ থেকে মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা আরও বলেন, বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬-এর ধারা ২(এস) অনুযায়ী ছেলে এবং মেয়েদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করার বয়সসীমা ছেলেদের জন্য ২১ বছর এবং মেয়েদের জন্য ১৮ বছরের নীচে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী ছেলে ও মেয়েদের নাবালক বলে কথিত বয়োসীমা সম্পর্কে বিধায়ক আবদুর রশিদ মণ্ডল সরকারের কাছে জানতে চান, বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬ এবং শিশু সুরক্ষা আইন ২০১২-এর বলে ২০১৭ সাল থেকে অসমে এখন পর্যন্ত নির্ধারিত বয়সের কম কত ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে, কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের খালাস করা হয়েছে, কতজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং কতজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে? সে সময় কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ বিধায়করা পরিপূরক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারির কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার জন্য অধ্যক্ষ বিরোধীদের পরিপূরক প্রশ্ন করার অনুমতি দেননি। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ হাঙ্গামা হয়। পরে অবশ্য প্রশ্নোত্তর পর্ব সুষ্ঠুভাবে চলে।