অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্ৰয়োজনীয় সংখ্যক ছাত্ৰ-ছাত্ৰীর অভাবের অজুহাত দেখিয়ে রাজ্যের আরও ১১ হাজার মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিকল্পনার তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে এআইডিএসও’র আসাম রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার সরকারি খণ্ডের ৯ হাজার বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। এখন পুনরায় ১১ হাজার অৰ্থাৎ মোট ২০ হাজারের অধিক বিদ্যালয় বন্ধ করে সরকার ক্ৰমান্বয়ে সমস্ত সরকারি বিদ্যালয় বিলুপ্ত করে শিক্ষার সামগ্ৰিক ব্যক্তিগতকরণ ও বানিজ্যিকীকরণের পথ সুগম করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
সরকার তাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকারি শিক্ষার মান অবনমিত করার উদ্দেশ্যে মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি বিদ্যালয়ে ১ম শ্ৰেণী থেকে ৮ম শ্ৰেণী পর্যন্ত পাস-ফেল প্ৰথা তুলে দিয়ে অটোমেটিক প্ৰমোশন ব্যবস্থা চালু করা, মাতৃভাষা মাধ্যমের বিদ্যালয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্ৰথম শ্ৰেণী থেকে ইংরেজী ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা না করা, প্ৰয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ না করা, শিক্ষকদের শিক্ষা বহিৰ্ভূত কাজে ব্যস্ত রাখার কৌশল অবলম্বন করেছে। এর পরিণতিতে সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান অবনমিত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি বিদ্যালয়ের উপর আস্থা হারিয়ে ন্যুনতম সামৰ্থ থাকা অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের উচ্চ মাশুল প্রদান করেও ব্যক্তিগত খণ্ডের বিদ্যালয়ে ভৰ্তি করাচ্ছেন। এর ফলে সরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্ৰ-ছাত্ৰীর সংখ্যা হ্ৰাস পাচ্ছে এবং এই অজুহাতে সরকারী বিদ্যালয় বন্ধ করা হচ্ছে। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষার স্বাৰ্থে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের ব্যবস্থা না করে বিদ্যালয়সমূহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্ৰ বিরোধিতা সংগঠনের পক্ষ থেকে করার পাশাপাশি অবিলম্বে জনবিরোধী ও শিক্ষাবিরোধী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষার্থে অবিলম্বে সরকারি বিদ্যালয়ে ৮ম শ্ৰেণী পর্যন্ত পাস-ফেল প্ৰথা পুনরায় চালু করা, প্ৰথম শ্ৰেণী থেকে গুরুত্ব দিয়ে ইংরাজী ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয়ে প্ৰয়োজনীয় সংখ্যক প্ৰশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করা, শিক্ষকদের অশৈক্ষিক কাজে নিয়োজিত না করা এবং বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার দাবিও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। একইভাবে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের এই ষড়যন্ত্ৰকে পরাস্ত করতে শক্তিশালী শিক্ষা আন্দোলন গড়ে তুলতে সর্বস্তরের ছাত্ৰ-ছাত্ৰী ও শিক্ষাপ্ৰেমী জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে এআইডিএসও।