অনলাইন ডেস্ক : অসমের ২,১১৪টি বিহু সমিতিকে রাজ্য সরকারের তরফথেকে ১.৫ লক্ষ টাকা করে এককালীন অর্থ সাহায্য তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। অসম সরকারের সাংস্কৃতিক পরিক্ৰমা বিভাগ কর্তৃক শ্ৰীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰের মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আজ মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা আনুষ্ঠানিকভাবে এককালীন অর্থ সাহায্য বিতরণ করেছেন। অৰ্থ সাহায্য বিতরণ করে আনন্দিত মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, ‘গত বছর থেকে বিহু সমিতিগুলিকে আর্থিক সাহায্য প্ৰদান করা হচ্ছে। সরকারি এই প্রকল্প রাজ্যের খিলঞ্জিয়া (ভূমিপুত্র)-দের সংস্কৃতি, আস্থার সুরক্ষা ও শক্তিশালী করতে আমাদের দৃঢ় সংকল্পের এক প্ৰকাশ বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি আশাবাদী, আমার সরকারের এই পদক্ষেপে নিৰ্বাচিত বিহু সমিতিগুলি অসমের বৰ্ণিল সাংস্কৃতিক ক্ষেত্ৰে বিহুর গুরুত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানগুলি সম্মানজনকভাবে আয়োজন করতে সহায়তা করবে।’ এদিকে মদ্যপান থেকে বিহু কমিটির কর্মকর্তাদের দূরে থাকতে অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্ৰী। তিনি বলেন, ‘বিহু মণ্ডপের ২০০ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে কেউ মদ খেতে পারবে না। মদ খেয়ে বিহু মণ্ডপ বা অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশেও কেউ আসতে পারবে না। একান্তই যদি মদ খেতে হয়, তা-হলে ঘরে খান, বলার কিছুই নেই। মদ খেয়ে ঢলং-পলং করে মঞ্চে উঠলে খারাপ দেখায়।’
তিনি বলেন, ‘মদ খেতে আমরা বাধা দেব না। মদের দোকান আমরাই দিয়েছি। তবে মদ খাওয়া থেকে বিহু কমিটির কর্মকর্তাদের দূরে থাকা দরকার। বিহু আমাদের মাথার মণি। তাই এই কয়দিন তা থেকে দূরে থাকুন সকলে।’
বিহু সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা আজ আরও এক ঘোষণা করেছেন। বলেন, ৩১ বৈশাখ পৰ্যন্ত বিহুর অনুষ্ঠান পালন করা যাবে। ১ জ্যৈষ্ঠ থেকে কোনও অবস্থায় বিহুর অনুষ্ঠান চলবে না। তবে অন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে, কিন্তু বিহুর জন্য অনুমতি দেবে না প্ৰশাসন, বার্তা মুখ্যমন্ত্ৰীর।
মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, ‘বিহু কমিটিগুলি চাঁদার নামে টাকা-পয়সা না নিয়ে হুঁচরি গাওয়ার ব্যবস্থা করুন। কম করেও ৫০ ঘরের মানুষের বাড়ি গিয়ে হুঁচরি গান গাওয়া যেতে পারে। এতে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর মমতা লাভ হবে।’ চাঁদা সংস্কৃতিকে খতম করতে হবে বলে মন্তব্য করে হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা বলেন, ‘এই সংস্কৃতি আমাদের জাতির জন্য সবচেয়ে বড় বদনাম। গামোচা নিয়ে জাতিকে আগে রেখে কারও কাছে হাত পাতা উচিত নয়।’
তিনি জানান, আগামী বছর থেকে রাজ্য সরকারের নেতৃত্বে প্ৰতীকী রূপে সাত বিহু অনুষ্ঠিত হবে। আজকের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিক্ৰমা দফতরের মন্ত্ৰী বিমল বরা, সাংসদ কুইন ওজা, কারবি আংলং স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কাৰ্যনির্বাহী সদস্য তুলিরাম রংহাং, বিধায়ক ড. পরমানন্দ রাজবংশী সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।