অনলাইন ডেস্ক : স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কাবুগঞ্জ শাখার ম্যানেজার কুলদীপ দাশগুপ্তের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কের মুখ খুললেন তাঁর মা অলকা দাশগুপ্ত। এ ঘটনায় ধৃত ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার (অডিট) যোগেন্দ্র পাণ্ডেকে এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে যোগেন্দ্র মুখ খুললে ব্যাঙ্কের অন্যান্য অনেক বড় কর্তাও বিপাকে পড়ে যেতে পারেন। তাই যোগেন্দ্রর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের তরফে – কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া নেওয়া হচ্ছে না। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অলকা দাশগুপ্ত বলেন, যোগেন্দ্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন বেশ কয়েক দিন ধরে তিনি রয়েছেন হাজতে। নিয়ম অনুযায়ী কোনও সরকারি কর্মী বা আধিকারিক গ্রেফতার হয়ে চব্বিশ ঘণ্টা হাজতে থাকলেই তাকে সাসপেন্ড করতে হয়। কিন্তু যোগেন্দ্রর বেলা দেখা যাচ্ছে, হাজতবাসের এতদিন পরও তাকে সাসপেন্ড করা হয়নি। আসলে যোগেন্দ্ৰ মুখ খুললে বিপাকে পড়ে যেতে পারেন ব্যাঙ্কের অনেক বড় কর্তাও। তাই তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিতে চাইছেন না তারা। উল্টে বড়কর্তারা তাকে বাঁচানোর জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অলকা দাশগুপ্ত বলেন, যোগেন্দ্র পাণ্ডের জন্য ১৩-১৪ জন আইনজীবী নিয়োজিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর ছেলের মৃত্যু নিয়ে তিনি যাতে সুবিচার পেতে পারেন এর জন্য ব্যাঙ্কের কেউই এগিয়ে আসছেন না। যদিও যোগেন্দ্ৰ পাণ্ডের মতো তাঁর ছেলে কুলদীপও ছিলেন ব্যাঙ্কের আধিকারিক। কিন্তু দু’জনের ক্ষেত্রে বড়কর্তাদের আচরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে সব কিছু। তিনি আরও বলেন, কুলদীপের মৃত্যুর পর ব্যাঙ্কের এজিএম তাঁদের বাড়িতে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁরা যাতে সুবিচার পান এর জন্য অবশ্যই উদ্যোগী হবেন। কিন্তু কোথায় কী, ব্যাঙ্কের কেউই বর্তমানে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন না। বরং দেখা যাচ্ছে, বড়কর্তারা দৃষ্টিকটুভাবে যোগেন্দ্র পাণ্ডেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।