অনলাইন ডেস্ক : যেন কোনও সম্রাটের রাজসভার অমূল্য অলংকার। বেছে বেছে আমদানি করা হয়েছে রত্নগুলিকে। ভালো খারাপের পাটিগণিত শেষে ‘ পিকচার পারফেক্ট ‘ একটা তালিকা। যা নিয়েই জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিজিএমে খেলতে নামবে শাসক গোষ্ঠী। সূত্রের দাবি মানলে, প্রতিপক্ষের কোমর পুরোপুরি ভেঙে দিতে একের পর এক অস্ত্র তাক করে ফেলেছে পদ্ম শিবির।
কি নেই গেরুয়া ব্রিগেডের প্যানেলে? প্রাক্তন ক্রিকেটার, ফুটবলার, ব্যাঙ্ক কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক! অতীতের মিররে তাকালে হয়তো দেখতে পাবেন আকবরের মন্ত্রীসভার ‘ নবরত্ন ‘ – র প্রতিচ্ছবি। নিজের পছন্দের লোকদের নিয়ে পরিবর্তনের দমকা হাওয়ায় বর্তমান কমিটি বলা বাহুল্য বাবুল হোড়দের টিকে থাকার ব্যানার ছিঁড়ে দিতে গেরুয়া শিবির যে তৎপর, এর আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধুই প্যানেল লিস্টের। কোনও পদাধিকারীরা ‘স্পিকটি নট ‘ পলিসি ধরে রাখলেও বিশ্বস্ত সূত্র মাফরত হাতে চলে এসেছে পদ্ম ব্রিগেডের তালিকার একটা পরিস্কার ছবি। দীপায়ন, রাজদীপরা যে পূর্বতন কমিটির সবাইকে ‘ আউট ‘ করে দিয়েছেন, তা কিন্তু নয়। কিছু কাটছাঁট করে চমক দিয়ে প্রায় ফাইনাল করে ফেলেছেন দারুণ (?) একটা প্যানেল।
মহাগুরুত্বপূর্ণ সভাপতি পদে ওয়েট করছে শেষবারের এজিএমের রিমেক ! এই পদে বর্তমান সভাপতি বাবুল হোড় এবং শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর ডুয়েলটা সময়ের অপেক্ষামাত্র। শেষবার সভাপতি পদে বাবুল হোড়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন দীপায়ন। অবশ্য তখন বিধায়ক ছিলেন না তিনি। এবার আরেক ইম্পরট্যান্ট সচিব পদ? সুনামি টুনামী না আসলে এই পোস্টে শাসক শিবিরের প্যানেলে অটোমেটিক চয়েস বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিং ওরফে বাদশা। এখন অবধি একটা সাসপেন্স গন্ধ দিয়ে আসলেও বাদশা যে পদ্ম -র ডাকে ‘হ্যাঁ ‘ বলবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সহ সভাপতি সহ বেশ কয়েকটি পদে রেখে দিয়ে এই প্যানেল নির্মাণকারীরা বেশ চতুরতার পরিচয় দিয়েছেন। অজাতশত্রু ড. সিদ্ধার্থ শঙ্কর ভট্টাচাৰ্য, নন্দদুলাল রায়, নীলাভ মজুমদার রয়েছেন তাদের প্যানেলে। স্টেডিয়াম সহ সভাপতি পদে বিজিএমে গেরুয়া শিবিরের মুখ হতে যাচ্ছেন লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই। এতদিন এই পদ অলংকৃত করে আসছিলেন কংগ্রেস নেতা সুজন দত্ত। সংস্থার প্রাক্তন সচিব সুবিমল ধরেরও শাসক গোষ্ঠীর সমর্থনে সহ সভাপতি পদে নির্বাচন খেলার সম্ভাবনা প্রবল। বলা বাহুল্য একশোর মধ্যে নিরানব্বই শতাংশ। আগের কমিটির এজিএস অজয় চক্রবর্তী এবার সাংস্কৃতিক সহ সভাপতি পদের দাবি জানাবেন। গেরুয়া শিবিরের প্যানেলেই রয়েছেন একসময় বাবুল হোড়ের কাছের লোক বলে পরিচিত অজয় চক্রবর্তী।
সূত্রের দাবি অনুযায়ী, প্রাক্তন ব্যাংক কর্মী ডিএসএ- র আরেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব অনিমেষ সেনগুপ্তকে কোষাধক্ষ্য পদে রেখে দিতে আগ্রহী দীপায়নরা। এজিএস পদে গেরুয়া প্যানেলে নিজেদের টিকিট বুক করেছেন অরিজিৎ গুপ্ত ( যীশু )। এই তালিকাতে ভাগ্য শিকে ছিড়েছে শেষবার এজিএস পদে হেরে যাওয়া চন্দন শর্মারও। মূলত অজয় চক্রবর্তী সহ সভাপতির পদে উন্নীত হওয়ায় সম্ভবত চন্দনের উপর আস্থা দেখিয়েছে গেরুয়া শিবির। আরেক চমকের নাম দেবাশীষ সোম। প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংগটক, সাংবাদিক তথা ডেডিকেটেড বিজেপি কর্মী দেবাশীষের এবার প্রমোশন হচ্ছে। আগে ছিলেন স্টেডিয়াম সচিব। নাটকীয় ফেরবদল না ঘটলে এবার এজিএস প্রশাসনের
জন্য তাঁর নাম প্রপোজ করবে পদ্ম শিবির।
সরকারিভাবে প্রকাশ্যে কিছু খোলসা না করলেও অন্যান্য অন্যান্য সচিব পদেরও প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছেন দীপায়নরা। ক্রিকেট এবং আম্পায়ার পদে গেরুয়া চাদর গায়ে চাপাতে চলেছেন বাদশার দুই বিশ্বস্ত নিরঞ্জন দাস এবং হিমাদ্রি শেখর দাস। ফুটবলে রয়েছেন জেলা দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক উত্তম চৌধুরী। ইনডোরে অনিমেষ চন্দ। গ্রাউন্ড সচিব পদে তাঁদের পছন্দ আরেক কৌশিক, অর্থাৎ কৌশিক রায়। স্টেডিযামে আশীষ চক্রবর্তী। ফিজিক্যালে আবার গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীত্বের দাবি জানাবেন সাংসদ ড. রাজদীপ রায় ঘনিষ্ট মিঠুন রায়।
এই তালিকায় রদবদলের সম্ভাবনা তো প্রায় নেই- র সমান। তারপরও কিছু কিন্তু, যদি তো থেকেই যায়। তবে শেষঅবধি যদি এই প্যানেল থেকে যায় তাহলে কিন্তু প্রতিরোধের একটা বিশাল হিমালয় পেরিয়েই গন্তব্যের দিকে উঁকি মারতে হবে। অতএব আপাতত ‘ওয়েট এন্ড ওয়াচ’ । চূড়ান্ত ক্লাইমাক্সটা তো উঠবে ২৫ জুন।
গেরুয়া শিবিরের প্যানেল
সভাপতি : দীপায়ন চক্রবর্তী।
সচিব : বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং।
সহ সভাপতি : ড. সিদ্ধার্থ শঙ্কর ভট্টাচাৰ্য, সুবিমল ধর, কৌশিক রাই, নন্দদুলাল রায়, রতন সিং, নীলাভ মজুমদার, অজয় চক্রবর্তী।
কোষাধক্ষ্য : অনিমেষ সেনগুপ্ত।
সহ সম্পাদক : অরিজিৎ গুপ্ত, চন্দন শর্মা, দেবাশীষ সোম।
ফুটবল সচিব : উত্তম চৌধুরী ।
ক্রিকেট সচিব : নিরঞ্জন দাস।
মাইনর গেমস : সত্যজিৎ দাস।
ইন্ডোর গেমস : অনিমেষ চন্দ ।
আম্পায়ার সচিব : হিমাদ্রি শেখর দাস।
গ্রাউন্ড সচিব : আশীষ চক্রবর্তী।
স্টেডিয়াম সচিব : কৌশিক রায়।
ফিজিক্যাল সচিব : মিঠুন রায়।
অনলাইন ডেস্ক : যেন কোনও সম্রাটের রাজসভার অমূল্য অলংকার। বেছে বেছে আমদানি করা হয়েছে রত্নগুলিকে। ভালো খারাপের পাটিগণিত শেষে ‘ পিকচার পারফেক্ট ‘ একটা তালিকা। যা নিয়েই জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিজিএমে খেলতে নামবে শাসক গোষ্ঠী। সূত্রের দাবি মানলে, প্রতিপক্ষের কোমর পুরোপুরি ভেঙে দিতে একের পর এক অস্ত্র তাক করে ফেলেছে পদ্ম শিবির।
কি নেই গেরুয়া ব্রিগেডের প্যানেলে? প্রাক্তন ক্রিকেটার, ফুটবলার, ব্যাঙ্ক কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক! অতীতের মিররে তাকালে হয়তো দেখতে পাবেন আকবরের মন্ত্রীসভার ‘ নবরত্ন ‘ – র প্রতিচ্ছবি। নিজের পছন্দের লোকদের নিয়ে পরিবর্তনের দমকা হাওয়ায় বর্তমান কমিটি বলা বাহুল্য বাবুল হোড়দের টিকে থাকার ব্যানার ছিঁড়ে দিতে গেরুয়া শিবির যে তৎপর, এর আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধুই প্যানেল লিস্টের। কোনও পদাধিকারীরা ‘স্পিকটি নট ‘ পলিসি ধরে রাখলেও বিশ্বস্ত সূত্র মাফরত হাতে চলে এসেছে পদ্ম ব্রিগেডের তালিকার একটা পরিস্কার ছবি। দীপায়ন, রাজদীপরা যে পূর্বতন কমিটির সবাইকে ‘ আউট ‘ করে দিয়েছেন, তা কিন্তু নয়। কিছু কাটছাঁট করে চমক দিয়ে প্রায় ফাইনাল করে ফেলেছেন দারুণ (?) একটা প্যানেল।
মহাগুরুত্বপূর্ণ সভাপতি পদে ওয়েট করছে শেষবারের এজিএমের রিমেক ! এই পদে বর্তমান সভাপতি বাবুল হোড় এবং শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর ডুয়েলটা সময়ের অপেক্ষামাত্র। শেষবার সভাপতি পদে বাবুল হোড়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন দীপায়ন। অবশ্য তখন বিধায়ক ছিলেন না তিনি। এবার আরেক ইম্পরট্যান্ট সচিব পদ? সুনামি টুনামী না আসলে এই পোস্টে শাসক শিবিরের প্যানেলে অটোমেটিক চয়েস বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিং ওরফে বাদশা। এখন অবধি একটা সাসপেন্স গন্ধ দিয়ে আসলেও বাদশা যে পদ্ম -র ডাকে ‘হ্যাঁ ‘ বলবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সহ সভাপতি সহ বেশ কয়েকটি পদে রেখে দিয়ে এই প্যানেল নির্মাণকারীরা বেশ চতুরতার পরিচয় দিয়েছেন। অজাতশত্রু ড. সিদ্ধার্থ শঙ্কর ভট্টাচাৰ্য, নন্দদুলাল রায়, নীলাভ মজুমদার রয়েছেন তাদের প্যানেলে। স্টেডিয়াম সহ সভাপতি পদে বিজিএমে গেরুয়া শিবিরের মুখ হতে যাচ্ছেন লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই। এতদিন এই পদ অলংকৃত করে আসছিলেন কংগ্রেস নেতা সুজন দত্ত। সংস্থার প্রাক্তন সচিব সুবিমল ধরেরও শাসক গোষ্ঠীর সমর্থনে সহ সভাপতি পদে নির্বাচন খেলার সম্ভাবনা প্রবল। বলা বাহুল্য একশোর মধ্যে নিরানব্বই শতাংশ। আগের কমিটির এজিএস অজয় চক্রবর্তী এবার সাংস্কৃতিক সহ সভাপতি পদের দাবি জানাবেন। গেরুয়া শিবিরের প্যানেলেই রয়েছেন একসময় বাবুল হোড়ের কাছের লোক বলে পরিচিত অজয় চক্রবর্তী।
সূত্রের দাবি অনুযায়ী, প্রাক্তন ব্যাংক কর্মী ডিএসএ- র আরেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব অনিমেষ সেনগুপ্তকে কোষাধক্ষ্য পদে রেখে দিতে আগ্রহী দীপায়নরা। এজিএস পদে গেরুয়া প্যানেলে নিজেদের টিকিট বুক করেছেন অরিজিৎ গুপ্ত ( যীশু )। এই তালিকাতে ভাগ্য শিকে ছিড়েছে শেষবার এজিএস পদে হেরে যাওয়া চন্দন শর্মারও। মূলত অজয় চক্রবর্তী সহ সভাপতির পদে উন্নীত হওয়ায় সম্ভবত চন্দনের উপর আস্থা দেখিয়েছে গেরুয়া শিবির। আরেক চমকের নাম দেবাশীষ সোম। প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংগটক, সাংবাদিক তথা ডেডিকেটেড বিজেপি কর্মী দেবাশীষের এবার প্রমোশন হচ্ছে। আগে ছিলেন স্টেডিয়াম সচিব। নাটকীয় ফেরবদল না ঘটলে এবার এজিএস প্রশাসনের
জন্য তাঁর নাম প্রপোজ করবে পদ্ম শিবির।
সরকারিভাবে প্রকাশ্যে কিছু খোলসা না করলেও অন্যান্য অন্যান্য সচিব পদেরও প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলেছেন দীপায়নরা। ক্রিকেট এবং আম্পায়ার পদে গেরুয়া চাদর গায়ে চাপাতে চলেছেন বাদশার দুই বিশ্বস্ত নিরঞ্জন দাস এবং হিমাদ্রি শেখর দাস। ফুটবলে রয়েছেন জেলা দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক উত্তম চৌধুরী। ইনডোরে অনিমেষ চন্দ। গ্রাউন্ড সচিব পদে তাঁদের পছন্দ আরেক কৌশিক, অর্থাৎ কৌশিক রায়। স্টেডিযামে আশীষ চক্রবর্তী। ফিজিক্যালে আবার গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীত্বের দাবি জানাবেন সাংসদ ড. রাজদীপ রায় ঘনিষ্ট মিঠুন রায়।
এই তালিকায় রদবদলের সম্ভাবনা তো প্রায় নেই- র সমান। তারপরও কিছু কিন্তু, যদি তো থেকেই যায়। তবে শেষঅবধি যদি এই প্যানেল থেকে যায় তাহলে কিন্তু প্রতিরোধের একটা বিশাল হিমালয় পেরিয়েই গন্তব্যের দিকে উঁকি মারতে হবে। অতএব আপাতত ‘ওয়েট এন্ড ওয়াচ’ । চূড়ান্ত ক্লাইমাক্সটা তো উঠবে ২৫ জুন।
গেরুয়া শিবিরের প্যানেল
সভাপতি : দীপায়ন চক্রবর্তী।
সচিব : বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং।
সহ সভাপতি : ড. সিদ্ধার্থ শঙ্কর ভট্টাচাৰ্য, সুবিমল ধর, কৌশিক রাই, নন্দদুলাল রায়, রতন সিং, নীলাভ মজুমদার, অজয় চক্রবর্তী।
কোষাধক্ষ্য : অনিমেষ সেনগুপ্ত।
সহ সম্পাদক : অরিজিৎ গুপ্ত, চন্দন শর্মা, দেবাশীষ সোম।
ফুটবল সচিব : উত্তম চৌধুরী ।
ক্রিকেট সচিব : নিরঞ্জন দাস।
মাইনর গেমস : সত্যজিৎ দাস।
ইন্ডোর গেমস : অনিমেষ চন্দ ।
আম্পায়ার সচিব : হিমাদ্রি শেখর দাস।
গ্রাউন্ড সচিব : আশীষ চক্রবর্তী।
স্টেডিয়াম সচিব : কৌশিক রায়।
ফিজিক্যাল সচিব : মিঠুন রায়।