অনলাইন ডেস্ক : শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ড্রাগ ইন্সপেক্টর বনরাই রংমাইকে ঘিরে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে এবার সরব হল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আই এম এ)।
শনিবার মেডিকেলের অ্যলুমনি হলে আই এম এ কাছাড় জেলা শাখা এবং মেডিক্যালের জুনিয়র ডক্টর এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এক জরুরী বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের পর আই এম এ কাছাড় জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বনরাই রংমাইর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে, অন্যথায় রাজ্য জুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর ঘটনার দিন “ভিজিটিং”-এর জন্য নির্ধারিত সময়ে পার হয়ে যাওয়ার পর বনরাই রংমাই মেডিকেলের মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন। এর পরবর্তীতে ড্রাগ ইন্সপেক্টর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্তব্যরত চিকিৎসককে নিগৃহীত করেন তিনি। সে সময় বনরাই নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এভাবে গুরুতর অভিযোগ এনে বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে ২০২১ সালেও বনরাই এক দফা মেডিক্যালে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়েছিলেন।
বিবৃতিতে জুনিয়র ডাক্তার অনুরাগ দে-র সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, ঘটনাকে ঘিরে অনুরাগ দে এবং অন্যান্য কয়েকজন চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই তাদের নিরাপত্তায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এসব দাবি পূরণের সঙ্গে সঙ্গে বনরাই রংমাইর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আই এম এ এবং জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আইএমএ-র পাশাপাশি জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (জে ডি এ)-এর পক্ষ থেকে এককভাবেও এক বিবৃতিতে একইভাবে অভিযোগ এনে বনরাই রংমাইর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে। এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এক ভিডিও পাঠানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমের কাছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন মহিলা নিজেদের অন্যান্য রোগীর অ্যাটেনডেন্ট বলে দাবী করে উল্লেখ করছেন তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। মহিলারাও বয়ান দেন, ঘটনাটার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন বনরাই রংমাই।
এদিকে ঘটনার জেরে অনুরাগ দে নামে যে জুনিয়র ডাক্তারকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে, তিনিও বনরাই রংমাইয়ের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ এনে থানায় পাল্টা এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।