সাময়িক প্রসঙ্গ অনলাইন ডেস্ক
ভাঙ্গা, ১৯ আগস্ট : ভাঙ্গায় মৃত এক যুবকের জীবিত হওয়ার গুজবে শুক্রবার উত্তাল হয়ে ওঠে ভাঙ্গা বদরপুর করিমগঞ্জ সহ গোটা জেলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে যে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ভাঙ্গার বাদে উত্তর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহে জানাজার প্রাক মুহুর্তে মৃত যুবককে জীবিত দেখা গেছে। মোবাইলের মাধ্যমে একে অন্যের কাছে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে খবর দূর দুরান্ত থেকে লোকজন বিষয়টি দেখার জন্য আসতেও শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত অনেক জল্পনা কল্পনার পর বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ জানাজা শেষে প্রয়াতের কবর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দিনভর ছড়িয়ে পড়া গুজবের অবসান হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ভাঙ্গার নিকটস্থ বাদে উত্তর গ্রামে মৃত মখলিস উদ্দিন ওরফে ফকির আলীর পুত্র শাহাদত হোসেন (৩১) হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ছয়টা নাগাদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। জানাজার সময় কার্য করা হয় জুম্মার নামাজের পর দুপুর একটা ত্রিশ মিনিটে। জানাজার আগে মৃতের মুখ দেখতে গিয়ে দেখা যায়, চোখ দিয়ে জল পড়ছে ও নাক দিয়ে বুদবুদের মত বের হচ্ছে। একাংশ লোক ধরে নেন দেহে প্রাণ রয়েছে। তখন চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। খবর দেওয়া হয় ১০৮ মৃত্যুঞ্জয় গাড়িকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে আবার নিয়ে জন্য। স্থানীয় ডাক্তাররাও দেখে বললেন মৃত। তবুও মানতে নারাজ একাংশ লোক। শেষপর্যন্ত মেশিন এনে ইসিজি করা হয়। ভাঙ্গা আউটপোস্টের ইনচার্জ প্রণব মিলি শ্রীগৌরী হাসপাতালের ইনচার্জ ডাক্তার মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়োগ অকুস্থলে উপস্থিত হন। ডাক্তার মিজানুর রহমান ইসিজি রিপোর্ট দেখে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃতের আত্মীয়-স্বজনকে বোঝান যে সকালেই মৃত্যু হয়েছিল। বিকেল পৌনে পাঁচটায় জানাজা শেষে প্রয়াতের কবর দেওয়া হয়।