অনলাইন ডেস্ক, নয়াদিল্লি : মর্মান্তিক নাকি দানবীয়। দিল্লি দুর্ঘটনা কাণ্ডে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নববর্ষের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিংয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী। গাড়ির সঙ্গে স্কুটির সংঘর্ষ ঘটার পরে ভয়ের চোটে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ওই বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় এসব তথ্য বেরিয়ে আসে । তিনি জানান, কী ভাবে পথ দুর্ঘটনা হয়। তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার শালিনী সিংহকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।মঙ্গলবার মৃতা তরুণীর বান্ধবীর বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। বয়ান দিতে গিয়ে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনার রাতে দুই বান্ধবী এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে স্কুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ফেরার পথেই গাড়ির সঙ্গে স্কুটির ধাক্কা লাগে। স্কুটি থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর শরীরে আঘাত লাগে। তবে তাঁর বান্ধবীর দেহ গাড়ির চাকায় আটকে যায়। ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
এদিকে সোমবারই পাঁচ অভিযুক্ত দীপক খন্না, অমিত খন্না, মনোজ মিত্তল, কৃষ্ণ এবং মিঠুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির চালাচ্ছিলেন দীপক। তাঁর পাশের আসনে ছিলেন মিঠুন। বাকি তিন জন পিছনে আসনে ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় ছিলেন অভিযুক্তরা। তাঁদের গাড়ি থেকে একাধিক মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে।জেরার মুখে দীপক নামে অভিযুক্ত বলেছে, সে নাকি উপলব্ধি করেছিল গাড়ির নীচে কিছু একটা আটকে রয়েছে। গাড়িতে বসে থাকা অন্য বন্ধুদের বিষয়টি জানালেও কেউ খুব একটা পাত্তা দেননি।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটি আশুতোষ নামে এক যুবক তাঁর বন্ধু অমিত এবং দীপককে ধার দিয়েছিল। গাড়ির আসল মালিক লোকেশ। তাঁর কাছ থেকেই গাড়িটি বন্ধুদের জন্য নিয়েছিলেন আশুতোষ।