সাময়িক প্রসঙ্গ অনলাইন ডেস্ক
শিলচর, ২৯ আগস্ট : ‘পেট্রোল কি দাম কমা কি নেহি কমা, ডিজেল কি দাম কমা কি নেহি কমা, আপকো থোড়া পয়সা বাচনে লগা কি নেহি লগা’– মিছিলের সামনে ই-রিক্সায় লাগানো মাইকে বাজছিল বিগত দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও এক সভার এমন ভাষণ। আর প্রধানমন্ত্রীর এসব প্রশ্নমালার সূত্র ধরে মিছিল যোগদানকারীরা সমস্বরে দিয়ে যাচ্ছিলেন নেতিবাচক জবাব।
মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকার সমস্যার প্রতিবাদে সোমবার কাছাড় জেলা যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিলচরে বের করা মিছিলে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। প্রতিবাদকারীদের সবার পরনেই ছিল কালো কাপড়। পার্ক রোডের কার্যালয় থেকে যাত্রারম্ভ করে মিছিলকারীরা শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমার পর ক্লাব রোডে ডাকবাংলো মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। বাধা পেয়ে মিছিলকারীরা বসে যান রাস্তার উপর। তখন পুলিশ গ্রেফতার শুরু করে গ্রেফতারি। চেংদোলা করে প্রতিবাদী যুব কংগ্রেসীদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সদর থানার ওসি অমৃতকুমার সিং জানিয়েছেন, আটক করা হয় মোট ২৫ জনকে। পরবর্তীতে অবশ্য সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে ডাকবাংলা মোড়ে পুলিশ যখন মিছিলের গতিরোধ করে তখন সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব কংগ্রেসের সভাপতি রনজিৎ দেবনাথ বলেন, মিছিলের জন্য তারা আগাম অনুমতি নিয়েছিলেন। কথা ছিল ট্রাঙ্ক রোড হয়ে যাবেন তারা। কিন্তু মাঝপথেই আটকে দেওয়া হল তাদের। আসলে সরকার যেকোনওভাবে বিরোধীদের আওয়াজ দমিয়ে রাখতে চাইছে। এরপর তিনি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়ে বলেন, এনিয়ে সাধারণ লোক কিছু বললেই তাদের নানাভাবে ভীতি প্রদর্শন করার পাশাপাশি বিভাজনের রাজনীতি করে চিন্তাধারা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। শাসক দলের বিভাজনের রাজনীতির ফাঁদে পা না দিয়ে এবং ভয়কে দূরে ঠেলে এগিয়ে আসার জন্য সাধারণ লোকেদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রনজিৎ আরও বলেন, মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি এ অঞ্চলের বেকার যুবক-যুবতীরা কাজ না পেয়ে জর্জরিত হচ্ছেন। বরাক উপত্যকায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির পদেও স্থানীয় যুবক-যুবতীদের নিযুক্তি দেওয়া হয় না। যুব কংগ্রেস এসবের বিরুদ্ধে জোকদমে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।