মোটকথা, অফিস পাড়া-সহ যেসব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে, সারাই-সাফাইয়ের মাধ্যমে সেসব রাস্তা করে তোলা হয়েছে ঝা-চকচকে। রাস্তার যে অংশ সারানো সম্ভব নয়, তা ঢেকে রাখা হয়েছে কৌশলে। ক্যাপিটাল মোড় থেকে সেন্ট্রাল রোড-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় দখলমুক্ত হয়েছে ফুটপাত। অনেকটা-ই স্বাভাবিক হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বলা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে প্রস্তুতি। যেন ‘জীয়নকাঠি’র ছোঁয়া পেয়ে আচমকাই জেগে ওঠেছে সব-কটি বিভাগ। এসব দেখে শহরের অনেকেই বলছেন, চাইলে রাস্তাঘাট পানীয়জল সহ অন্যান্য সমস্যা নিমিষে সমাধান করতে পারে বিভাগগুলি। সে ক্ষমতা রয়েছে তাদের। কিন্তু অনেক সময় সদিচ্ছার অভাবে তা হয়ে ওঠছে না। অবশ্য সরকারি বিভাগের সদিচ্ছা নিয়ে জনমনে এ সন্দেহ নেহাৎ অমূলক নয়। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী যে যে রুটে অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন, সেসব রাস্তা ছাড়াও শহর এবং শহরতলীর বেশিরভাগ সড়কেরই অবস্থা বেহাল। এ কোনও নতুন ঘটনাও নয়। শুধু পূর্ত বিভাগের কাছেই এ নিয়ে অজস্রবার আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাতে কাজ হয়নি। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে শহরের কিছু অংশের ভোল বদল ঘটছে। হয়তো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাকি অংশ রয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নজরের আড়ালে। এ যেন শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার মতো অবস্থা ! তাঁকে হয়তো জানতেও দেওয়া হবে না সেসব অঞ্চলের মানুষের দূর্গতির কথা। বন্যার পর গত বছর নভেম্বরে শিলচরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে শহরের নিকাশি নালা খনন সহ একাধিক ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নানা কারণে কাজ শুরু হয় দেরিতে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সবদিকে চলতে থাকে খোঁড়াখুঁড়ি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে নর্দমা খনন, উচ্ছেদ অভিযান, সদরঘাটে পুরনো সেতুর সংস্কার—–সবই শুরু হয় কাছাকাছি সময়ে। ফেব্রুয়ারির শেষলগ্নে বিবেকানন্দ রোড, অম্বিকাপট্টি, চার্চ রোড, দুই লিঙ্ক রোড (প্রথম ও দ্বিতীয়), প্রেমতলা-নাজির পট্টি, ইটখলা সহ বেশকিছু এলাকায় শুরু হয় নর্দমা খনন। কনকপুরে রাঙ্গিরখালেও গার্ড ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয় তখনই। এর কিছুদিন পর সেন্ট্রাল রোড, নাজিরপট্টি-প্রেমতলা এলাকায়ও নর্দমা খননের জন্য রাস্তা খুঁড়ে ফেলা হয়। এইসব প্রকল্পের বেশিরভাগেরই কাজ এখনও শেষ হয়নি। বিবেকানন্দ রোডে তো শুরুর কিছুদিন পর থেকেই বন্ধ পড়ে আছে কাজ। ভয়ংকর অবস্থা চার্চ রোড শনিমন্দির সংলগ্ন এলাকা। হাসপাতাল রোডেও স্থানে স্থানে গর্ত। দুই লিংক রোড সহ সোনাই রোডের অবস্থাও তথৈবচ। এরইমধ্যে জলের সংযোগের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগ ওইসব অঞ্চলের রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। ফলে ওইসব অঞ্চলের মানুষ চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেন একটিবারের জন্য তাঁদের এলাকায়ও যান। তিনি গেলেই রাতারাতি ভোল বদল ঘটবে এলাকার।
মোটকথা, অফিস পাড়া-সহ যেসব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে, সারাই-সাফাইয়ের মাধ্যমে সেসব রাস্তা করে তোলা হয়েছে ঝা-চকচকে। রাস্তার যে অংশ সারানো সম্ভব নয়, তা ঢেকে রাখা হয়েছে কৌশলে। ক্যাপিটাল মোড় থেকে সেন্ট্রাল রোড-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় দখলমুক্ত হয়েছে ফুটপাত। অনেকটা-ই স্বাভাবিক হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বলা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে প্রস্তুতি। যেন ‘জীয়নকাঠি’র ছোঁয়া পেয়ে আচমকাই জেগে ওঠেছে সব-কটি বিভাগ। এসব দেখে শহরের অনেকেই বলছেন, চাইলে রাস্তাঘাট পানীয়জল সহ অন্যান্য সমস্যা নিমিষে সমাধান করতে পারে বিভাগগুলি। সে ক্ষমতা রয়েছে তাদের। কিন্তু অনেক সময় সদিচ্ছার অভাবে তা হয়ে ওঠছে না। অবশ্য সরকারি বিভাগের সদিচ্ছা নিয়ে জনমনে এ সন্দেহ নেহাৎ অমূলক নয়। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী যে যে রুটে অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন, সেসব রাস্তা ছাড়াও শহর এবং শহরতলীর বেশিরভাগ সড়কেরই অবস্থা বেহাল। এ কোনও নতুন ঘটনাও নয়। শুধু পূর্ত বিভাগের কাছেই এ নিয়ে অজস্রবার আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাতে কাজ হয়নি। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে শহরের কিছু অংশের ভোল বদল ঘটছে। হয়তো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাকি অংশ রয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নজরের আড়ালে। এ যেন শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার মতো অবস্থা ! তাঁকে হয়তো জানতেও দেওয়া হবে না সেসব অঞ্চলের মানুষের দূর্গতির কথা। বন্যার পর গত বছর নভেম্বরে শিলচরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে শহরের নিকাশি নালা খনন সহ একাধিক ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নানা কারণে কাজ শুরু হয় দেরিতে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সবদিকে চলতে থাকে খোঁড়াখুঁড়ি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে নর্দমা খনন, উচ্ছেদ অভিযান, সদরঘাটে পুরনো সেতুর সংস্কার—–সবই শুরু হয় কাছাকাছি সময়ে। ফেব্রুয়ারির শেষলগ্নে বিবেকানন্দ রোড, অম্বিকাপট্টি, চার্চ রোড, দুই লিঙ্ক রোড (প্রথম ও দ্বিতীয়), প্রেমতলা-নাজির পট্টি, ইটখলা সহ বেশকিছু এলাকায় শুরু হয় নর্দমা খনন। কনকপুরে রাঙ্গিরখালেও গার্ড ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয় তখনই। এর কিছুদিন পর সেন্ট্রাল রোড, নাজিরপট্টি-প্রেমতলা এলাকায়ও নর্দমা খননের জন্য রাস্তা খুঁড়ে ফেলা হয়। এইসব প্রকল্পের বেশিরভাগেরই কাজ এখনও শেষ হয়নি। বিবেকানন্দ রোডে তো শুরুর কিছুদিন পর থেকেই বন্ধ পড়ে আছে কাজ। ভয়ংকর অবস্থা চার্চ রোড শনিমন্দির সংলগ্ন এলাকা। হাসপাতাল রোডেও স্থানে স্থানে গর্ত। দুই লিংক রোড সহ সোনাই রোডের অবস্থাও তথৈবচ। এরইমধ্যে জলের সংযোগের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগ ওইসব অঞ্চলের রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। ফলে ওইসব অঞ্চলের মানুষ চাইছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেন একটিবারের জন্য তাঁদের এলাকায়ও যান। তিনি গেলেই রাতারাতি ভোল বদল ঘটবে এলাকার।