অনলাইন ডেস্ক : রাজ্যের একাংশ মন্ত্রী ও শাসক দলের বিধায়কের ব্যক্তিগত সহায়ক (পি এ)-রা ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সতর্ক দিলেন মন্ত্রী -বিধায়কদের। জানা গেছে উধারবন্দের বিধায়ক মিহির কান্তি সোমের ব্যক্তিগত সহায়ক বিপ্রজিত ঘোষের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সূত্রে ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়কদের ও “পি-এ”রাজ নিয়ে সতর্ক করে দেন।মুখ্যমন্ত্রী শুধু সতর্ক করে দিয়েই ক্ষান্ত হননি,তার রোষের মুখে পড়তে কয়েক ঘন্টা থানায় আটকে থাকতে হয় বিপ্রজিত ঘোষকে।
বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির লোকসভা ভবনে মন্ত্রী-বিধায়কদের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে পর্যালোচনা করতে তাদের নিয়ে এক বৈঠকে বসেন। খবর অনুযায়ী ওই বৈঠকে উধারবন্দের বিধায়ক মিহির কান্তি সোমের পালা আসলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন মিহিরবাবুর রিপোর্ট কার্ড মোটেই আশানুরূপ নয়। তার কার্যকলাপ নিয়ে বহু অভিযোগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একথা বলার পর মিহিরবাবু তা খন্ডন করার চেষ্টা চালান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিহিরবাবুর ব্যক্তিগত সহায়ক বিপ্রজিত ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের কথা তুলে ধরার পর মিহিরবাবু পাল্টা ব্যক্তিগত সহায়ক বিপ্রজিতের সমর্থনে কিছু কথা বলে তাকে আড়াল করার চেষ্টা চালান। এতে মুখ্যমন্ত্রী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করেন কাছাড়ের এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে। জবাবে ওই পুলিশকর্তা বিপ্রজিতের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে জবাব দেন মোবাইলের স্পিকার অন করে মুখ্যমন্ত্রী তা শুনিয়ে দেন মিহির কান্তি সহ সভায় উপস্থিত অন্যান্যদের। এসব শুনে মিহির কান্তির আর বলার কিছু ছিল না। তিনি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী তখন ব্যক্তিগত সহায়কদের লাগাম টেনে ধরার জন্য অন্যান্য মন্ত্রী- বিধায়কদের ও সতর্ক করে দিয়ে বলেন এসবের দরুন দল এবং সরকারের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
বিপ্রজিতের কার্যকলাপে ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী এখানেই থেমে থাকেননি। খবর অনুযায়ী এর পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই বিপ্রজিতের খোঁজে সক্রিয় হয়ে ওঠে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বিপ্রজিৎ রয়েছেন গুয়াহাটির এক হোটেলে। কাছাড় পুলিশের কাছ থেকে এই বার্তা পেয়ে গুয়াহাটি পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই এই হোটেল থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। কয়েক ঘন্টা থানায় থাকার পর অবশ্য তাকে শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিপ্রজিত ঘোষ সম্পর্কে জানা গেছে তিনি সম্পর্কে বিধায়ক মিহির বাবুর আত্মীয়। আত্মীয় বিপ্রজিতকেই মিহির বাবু ব্যক্তিগত সহায়ক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, চক্রান্ত করে তাকে “সফট টার্গেট”করা হচ্ছে। তিনি নাকি একাধিক এক্সকেভেটরের মালিক ও জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত এসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে মিহির বাবুর বক্তব্য জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি “রিসিভ” করেননি।