অনলাইন ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হাতে উদ্বোধন হয়েছে গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে বহু প্রতীক্ষিত অসমের দীর্ঘতম উড়ালসেতু। বুধবার উড়ালসেতুর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী তার নাম দিয়েছেন ‘নীলাচল ফ্লাইওভার’।
গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘নীলাচল ফ্লাইওভার’টি প্রকৃতি সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে তৈরি হয়েছে। পূর্ত (সড়ক) বিভাগ কর্তৃক নির্মিত ২.৬ কিমি দীর্ঘ চারলেনের এই উড়ালসেতু এটি রোডের মালিগাঁও চারিয়ালি থেকে কামাখ্যা গেট পর্যন্ত গিয়েছে। রাখি পূর্ণিমার দিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বা শর্মা ফিতা কেটে নবনির্মিত ‘নীলাচল ফ্লাইওভার’-এর উদঘাটন করেছেন। উড়ালসেতু উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অশোক সিংঘল, গুয়াহাটির মেয়র মৃগেণ শরণিয়া, গুয়াহাটির সাংসদ কুইন ওজা, দুই বিধায়ক অতুল বরা, রমেন্দ্রনারায়ণ কলিতা, গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বরা, পূর্ত ও রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিজেপির স্থানীয় নেতারা।
শেষের কয়েকদিন পূর্ত (লোকনির্মাণ) বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার-কর্মীরা দিবারাত্র কাজ করছেন। এই ফ্লাইওভারে রয়েছে প্রায় ৫০টি পিলার। ওইসব পিলারে বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফাইন আর্টের ছাত্র জিতু গগৈ ও তাঁর দল ওই চিত্র এঁকেছেন। গৌতম কনস্ট্রাকশন ও অনুপম কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড, এই দুই কোম্পানি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ করেছে। দুটি নির্মাণ সংস্থার চারটি গ্রুপে চিত্রশিল্পীরা কাজ করছেন। চিত্রশিল্পীরা ফ্লাইওভারের প্রতিটি পিলারে অসমের বন্যপ্রাণী, অসমের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সাজ-পোশাকের রূপ দান করেছেন। এই ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে ওই পথে যাতায়াতে খুবই সুবিধা হবে। কমবে যানজট। নির্মাণ কার্য শুরু হওয়ার পর প্রতিদিনই ভীষণ ট্রাফিক জ্যামের ফলে নিত্যযাত্রীদের বেজায় দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। শুধু ট্রাফিক জ্যামই নয়, নির্মাণকার্যের সময় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও সংঘটিতও হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মার্চে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকার্য শুরু হয়েছিল। সে সময় ফ্লাইওভারটির শিলান্যাস করেছিলেন তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। মালিগাঁও থেকে কামাখ্যা গেট পর্যন্ত নির্মিত ২.৬ কিমি লম্বা এই ফ্লাইওভারটি চারলেন যুক্ত। প্রায় ৪২০.৭৫ কোটি টাকা খরচ করে এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এর একটি উইং পাণ্ডু পর্যন্ত বিস্তৃত। ফ্লাইওভারটি শেষ হতে সময় লেগেছে দু বছর চার মাস।