অনলাইন ডেস্ক : এবারের মাধ্যমিকে পাশের হার যতই বাড়ুক না কেন কিছু কিছু স্কুলের ফলাফল রয়ে গেছে সেই শূন্যের কোঠায়। কাছাড় জেলায়ই রয়েছে এমন পাঁচটি স্কুল।
শিক্ষা বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, “বিশেষ কৃতিত্ব”প্রদর্শনকারী ৫টি স্কুল হল শিলচর শহর সংলগ্ন রামনগর মনিপুরী হাই স্কুল, শিলচর জেল রোডের সর্বশিক্ষার অধীনে চলা রেসিডেন্সিয়াল বয়েজ স্কুল, ডলু বাগান প্রাইভেট হাই স্কুল, কাটিগড়া বিহাডা এলাকার গড়েরভিতর দিননাথপুর হাই স্কুল ও তাপাং কোয়ারপার এলাকার বি আর সাহু মেমোরিয়াল হাইস্কুল। এরমধ্যে ডলুবাগান প্রাইভেট হাই স্কুল ও গড়েরভিতর দিননাথপুর হাই স্কুল পর পর দুবার শূন্য সাফল্যের এই “বিশেষ কৃতিত্ব” অর্জন করেছে। এবারের মতো গত বছরও এই দুটি স্কুলের কোনও পরীক্ষার্থী পাশ করেনি।
এই পাঁচটি স্কুলের মধ্যে রামনগর মনিপুরি হাই স্কুল, গড়েরভিতর দিননাথপুর হাইস্কুল সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত ভেঞ্চার স্কুল। ডলুবাগান প্রাইভেট হাই স্কুল, বি আর সাহু মেমোরিয়াল হাইস্কুল অঅস্বীকৃতিপ্রাপ্ত ভেঞ্চার স্কুল। আর শিলচর জেল রোডের রেসিডেন্সিয়াল বয়েস স্কুল, সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত, চলছে সর্বশিক্ষার অধীনে।
রামনগর মনিপুরি হাইস্কুল থেকে এবার পরীক্ষায় বসেছিল ৩ জন, পাশ করতে পারেনি কেউই । ডলু বাগান প্রাইভেট হাইস্কুল থেকে ৩ জন, বি আর সাহু মেমোরিয়াল হাই স্কুল থেকে ৭জন এবং গড়েরভিতর দিননাথপুর হাইস্কুল থেকে পরীক্ষায় বসা ২ জনের কেউই পাশ করতে পারেনি। আর রেসিডেন্সিয়াল বয়েজ স্কুলের পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ জন, পাশ করতে পারেনি এরাও। স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট বিশ্বজিৎ নাথ জানিয়েছেন মোট ১৬ জন পরীক্ষার্থী থাকলেও পরীক্ষায় বসেছিল ১২ জন। তিনি আরও জানান, নির্যাতনের শিকার বা অন্যান্যভাবে বিপর্যস্ত হওয়া যেসব কিশোর যুবকদের সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় তাদেরই এই স্কুলে রেখে পড়াশোনা করানো হয়।
এদিকে এই পাঁচ স্কুলের পাশাপাশি আবার জেলায় ৬টি এমন সরকারি স্কুল রয়েছে, যেসব স্কুলে সফলতার হার একশ শতাংশ। এই ছটি স্কুলের মধ্যে ইবেমহাল হাইস্কুলের ৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জন পাস করেছে প্রথম বিভাগে, ৫ জন দ্বিতীয় বিভাগে। অন্য ৫টি স্কুল হল খুনৌ হাই স্কুল (মোট পরীক্ষার্থী-৭, প্রথম বিভাগ- ২, দ্বিতীয় বিভাগ ৫)। লক্ষ্মীপুর গার্লস হাই স্কুল (মোট পরীক্ষার্থী ৭, সবাই পাশ করেছে দ্বিতীয় বিভাগে)। সাপরময়না হাইস্কুল(মোট পরীক্ষার্থী-৪৪, প্রথম বিভাগ-১৮, দ্বিতীয় বিভাগ-২৩, তৃতীয় বিভাগ-৩), সিঙ্গেরবন্দ হাই স্কুল(মোট পরীক্ষার্থী-৯, প্রথম বিভাগ-৪, দ্বিতীয় বিভাগ-৫)। কামেশ্বর হাই স্কুল (মোট পরীক্ষার্থী-৭, প্রথম বিভাগ-১, দ্বিতীয় বিভাগ-৬)। প্রসঙ্গত এই ৬ টি স্কুলের মধ্যে খুনৌ হাইস্কুল এবং লক্ষীপুর গার্লস হাই স্কুলের বিগত দিনে “শূন্য সাফল্যের”রেকর্ড রয়েছে। তবে সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে এবার স্কুলগুলোর ১০০শতাংশ সাফল্য স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে শৈক্ষিক মহলের।