অনলাইন ডেস্ক : ভারতমালা প্রকল্পের অধীনে সড়ক তৈরির জন্য উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে রংপুর প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ডে। এই উচ্ছেদ অভিযানে গৃহহীন হয়ে পড়া লোকেরা সোমবার রংপুর মধুরা সেতু সংলগ্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। মন্ত্রী অতুল বরার হাতে স্মারকপত্র তুলে দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা শুরু করেন অবরোধ। এর জন্য দোষারূপ করেন স্থানীয় বিধায়ক মিহির কান্তি সোমকে।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। রবিবার উচ্ছেদের সময়ই এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন বিনা নোটিশে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর ঘরবাড়ি ভাঙার দরুন পুনর্বাসনের জন্য সাহায্যের দাবিতেও সরব হয়ে ওঠেন তারা।
এদিকে সোমবার বরাক উপত্যকা সফরে আসেন রাজ্যের কৃষি সহ অন্যান্য বিভাগের মন্ত্রী অতুল বরা। দুপুরে বিমানবন্দরে অবতরণের পর সড়কপথে শিলচর শহরে আসছিলেন তিনি। উচ্ছেদের কবলে পড়া লোকেরা মন্ত্রীর কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানাতে স্মারকপত্র তৈরি করে
অপেক্ষা করছিলেন পথে মধুরা সেতু সংলগ্ন এলাকায়। যদিও মন্ত্রীর কনভয় সেখানে থামে নি। কনভয় পার হয়ে যাওয়ার পরই ক্ষুব্ধ হয়ে জমায়েত লোকেরা শুরু করেন পথ অবরোধ। অবরোধকারীরা ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রীর হাতে স্মারকপত্র তুলে দিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এর জন্যই তারা অপেক্ষা করছিলেন সেখানে। আর মন্ত্রীর কনভয় পৌছার পর তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ি থামানোও হচ্ছিল। কিন্তু বিধায়ক মিহির কান্তি সোম গাড়ি থামতে দেননি। তার ইশারায় মন্ত্রীর গাড়ি থামতে থামতেও ফের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যায়। এতে তাদের পক্ষে আর মন্ত্রীর কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ হয়নি।
এদিকে অবরোধ শুরু হওয়ার পর সেখানে ছুটে যান পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রায় আধঘন্টা ধরে অবরোধ চলার পর পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি-দাওয়ার কথা মন্ত্রী এবং প্রশাসনের শীর্ষ মহলে তুলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলে সরে যান অবরোধকারীরা। অবরোধ মুক্ত হয় রাস্তা।