অনলাইন ডেস্ক : বুধবার শহর সংলগ্ন রংপুরে জালনোট সহ যুবককে পাকড়াও করার পর কোথা থেকে এসব নোট আনা হয়েছে এনিয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এ পর্যন্ত পুলিশের কাছে যে তথ্য এসেছে, সে অনুযায়ী জাল নোট ব্যবহার করে গাড়ি ক্রয়ের কারবার করতো ধৃত আমিনুল রহমান লস্কর (৩৭) ও সঙ্গী জিয়াউল হক লস্কর। জিয়াউলকে বর্তমানে পুলিশ খুঁজছে, সে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
ধৃত আমিনুল রংপুর দ্বিতীয় খন্ড এলাকার বাসিন্দা। বুধবার পাঁচ লক্ষ টাকার জাল নোট নিয়ে যাওয়ার সময় রংপুরেই পুলিশ তাকে পাকড়াও করে।
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের অনুমতিতে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতে। জানা গেছে আমিনুল এপর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে জানিয়েছে তাকে জাল নোট দিয়েছিল রংপুর দ্বিতীয় খন্ড এলাকারই জিয়াউল হক লস্কর নামে অন্য এক যুবক। তবে কোথায় কাকে এসব সমঝে দিতে যাচ্ছিল এনিয়ে আমিনুল এখনও কিছু খোলসা করেনি।
পুলিশের এক সূত্র জানান, জিয়াউলের খোঁজে তার বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি। আমিনুল ধরা পড়ার খবর পেয়ে সে গা ঢাকা দিয়েছে। সূত্রটি জানান, জিয়াউল একজন পুরানো গাড়ির ব্যবসায়ী, আমিনুল তার সঙ্গী। প্রতিবেশী রাজ্য মনিপুরের অপরাধী চক্রের সঙ্গে তাদের সংযোগ রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, মনিপুর থেকেই তারা এনেছিল জাল নোট। খুব সম্ভবত প্রতারণা করে জাল নোটের মাধ্যমে পুরানো গাড়ি ক্রয় করতে তারা মনিপুর থেকে এনেছিল জাল নোট। পলাতক জিয়াউল সম্পর্কে জানা গেছে, এর আগে পুলিশ একবার তাকে গ্রেফতার করেছিল।
এদিকে এক বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে উৎসবের মরশুমে যেভাবে বিভিন্ন স্থানে ঝান্ডি মুন্ডার আসর বসছে, বাজারে জাল নোট চালানোর জন্য সেসব আসরকেও টার্গেট করছে এক চক্র। সূত্রটির কথায়, জালনোট চক্রের লোকেরা বিভিন্ন ঝান্ডিমুন্ডার আসরে ব্যবহার করছে জাল নোট। এভাবে তা ছড়িয়ে পড়ছে বাজারে।