অনলাইন ডেস্ক : ভাষা শহিদদের আত্মবলিদানে অমর দিবস উনিশে মে। এনিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার জোরালো আওয়াজ তুলেছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। মঙ্গলবার বিডিএফের মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেছেন, ১৯৬১ এর পর আরো ৬২ বছর অতিক্রান্ত অথচ এখনো বরাকের ভাষা শহিদদের সরকারি স্বীকৃতি জুটেনি। মেহোরত্রা কমিশনের রিপোর্ট আজ অব্দি প্রকাশ করা হয়নি। কেন্দ্র সরকার ও রেল মন্ত্রকের সবুজ সংকেত থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণ আটকে রেখেছে। বাংলাভাষীর সংখ্যা রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ হওয়া সত্ত্বেও আজও বাংলাকে সহযোগী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে রাজ্যের জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ হলেও বোড়ো ভাষা রাজ্যের সহযোগী সরকারি ভাষা। দিশপুরে বিধানসভা বা বিধায়কদের আবাসগৃহতে নামফলকে অসমিয়ার সাথে বোড়ো ভাষা ব্যবহৃত হলেও বাংলার কোথাও কোনও অস্তিত্ব নেই। আসাম আন্দোলনের ৮৮০ জন শহিদকে স্বীকৃতি তথা পরিবারবর্গকে সরকারি অনুদান দিলেও ১৯শের শহিদরা আজো ব্রাত্য। এসবকে রাজনীতি ছাড়া আর কি বলা যায়? প্রদীপ বাবু বলেন, প্রতিবছর উনিশ উপলক্ষে মিছিল হয়, শ্রদ্বাঞ্জলি দেওয়া হয়, সন্ধ্যায় প্রদীপ, ধুপকাঠি জ্বলে তারপর আবার আমরা সব ভুলে যাই। এবার নতুন একটি সংগঠন মিছিল করেছে এটি আনন্দের কথা। যারাই এবার শহিদদের স্মৃতিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সবাই একযোগে ভাষা শহিদদের সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে সরব হোন, সোচ্চার হন মেহরোত্রা কমিশনের রিপোর্ট অবিলম্বে প্রকাশের দাবিতে। ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণ ও বাংলাকে সরকারি সহযোগি ভাষার স্বীকৃতির সপক্ষে আওয়াজ তুলুন। সেটাই হবে ভাষা শহিদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন, বরাকের ১৪ জন বিধায়ক ও সাংসদদের মধ্যে একমাত্র কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ ছাড়া কাউকে এসব নিয়ে আওয়াজ তুলতে কখনো দেখা যায়নি। এছাড়া বরাক বিজেপি কিংবা আরএসএস, ভিএইচপি ও বজরং দলও এসব নিয়ে নীরব। এদের সবাই যদি এসব নিয়ে একযোগে সরব হন তবে আমরা অবশ্যই দাবি আদায় করতে সমর্থ হব। তিনি তাই এই মর্মে তাঁদের অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রদীপবাবু জানান, বরাকের পাশাপাশি এবার ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় শহিদ দিবস পালন করবে মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি। এজন্য সংগঠকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।