অনলাইন ডেস্ক : ভারত বনাম ইন্ডিয়া নামের লড়াইয়ে ফের কংগ্রেস-সহ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর মতে, দেশের আসল নাম নিয়ে আদতে সুবিধাবাদী আচরণ করছে বিরোধী দল। ২৬টি বিরোধী দলের জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি এবার দেশের নাম সর্বত্র ভারত হিসাবে চালু করতে চাইছে। এজন্য সংবিধান সংশোধন করার দিকে হাঁটছে বিজেপি এমন সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। রাজনীতির কারবারিদের অভিমত, আচমকা চলতি মাসে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার পিছনেও কেন্দ্র সরকারের দেশের নাম বদলের পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘দেশের নাম অবশ্যই ভারত হওয়া উচিত। ব্রিটিশের চালু করা নাম ছিল ইন্ডিয়া। কিন্তু সংবিধানেই উল্লেখ রয়েছে ইন্ডিয়া মানে ভারত। আমাদের দেশ এখন অমৃতকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের নামের মধ্যে ভারতীয়ত্ব থাকা উচিত। তাই আমাদের ভারত নামই ব্যবহার করা উচিত। আর এর মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। কারণ সংবিধানেই এর উল্লেখ রয়েছে।’
এরপরেই কংগ্রেসের দিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘জয়রাম রমেশের ভারত নামের মধ্যে এত আপত্তি কেন? রাহুল গান্ধী কেন ভারত জোড়ো যাত্রা নামের পরিবর্তে ইন্ডিয়া জোড়ো যাত্রা করলেই পারতেন। কংগ্রেস নেতাদের এবার তাঁকেই প্রশ্ন করা উচিত। যখন কংগ্রেসের সুবিধা হয়, ওইসময় তাঁরা ভারত নাম ব্যবহার করেন। আবার অন্যসময় তা ইন্ডিয়া হয়ে যায়। আর আমরা ভারত নাম ব্যবহার করলেই রাহুল গান্ধীর দলের সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। তাছাড়া জয়রাম রমেশ তো কোনও রাজ্যের প্রতিনিধি নন। ফলে তাঁর এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করার কথাও নয়।’
এরপরেই হিমন্তের সংযোজন, ‘আমিও আইন পড়েছি। সংবিধানে যা বলা হয়েছে তাতে আদতে বোঝা যাচ্ছে যদ আমাদের দেশের নাম ভারতই। তবে বিদেশে গেলে কোনওসময় ইন্ডিয়া বলা যেতেই পারে। তাতে তেমন সমস্যা নেই।’ তিনি এদিন ফের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্টালিনের পুত্র উদয়নিধির সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। হিমন্তের মন্তব্য, ‘কংগ্রেস তো প্রথমে হিন্দু ধর্মকেই নিঃশেষ করে দিতে চাইছিল। এবার তারা ভারতকে শেষ করে দিতে চাইছে। তবে ওদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না। কারণ, যতদিন চন্দ্র-সূর্য আছে, ততদিনই ভারত থাকবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘হাজার বছর ধরেই ভারত নাম চলে আসছে। এখানে নতুন কিছু নেই। আমাদের দেশ ভারত ছিল, ভারত আছে আর ভারতই থাকবে।’ এর পাশপাশি তিনি ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়েও কটাক্ষ করেন হিমন্ত। তাঁর উক্তি, ‘এমন বহু দোকান খুলে আর বন্ধও হয়ে যায়। কংগ্রেসের এই নতুন দোকানও অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে।’