অনলাইন ডেস্ক : দুর্গোৎসবে নগাঁও, বিশ্বনাথ চারিয়ালি ও ডিব্রুগড়ের সহ ব্রহ্মপুত্র পতাকার অন্যান্য কিছু স্থানের বিভিন্ন পূজো মণ্ডপে বাংলায় লিখা ব্যানার জবরদস্তি খুলে ফেলা নিয়ে প্রতিবাদ ব্যক্ত করা হলো বরাক উপত্যকায়।
ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র সদস্যরা সোমবার নবমীর দিন শিলচর রাঙ্গিরখাড়িতে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে লাচিত সেনা ও আসু’র একাংশ কর্মী এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। দুই সংগঠনের এধরনের ভূমিকা মোটেই ভাষাপ্রেমের লক্ষণ নয়, এরা আদতে নির্বাচনী ও ব্যবসায়িক স্বার্থের “ফুট-সোলজার” হিসাবে অসামাজিক কাজে ব্যবহৃত শক্তি। ভাষা ও ধর্মের নামে এভাবে ভয় ভীতি ও বিদ্বেষ ছড়ানো অসামাজিক আগ্রাসী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। বিক্ষোভ চলাকালীন বক্তব্য রাখেন অরিন্দম দেব ও ফারুক লস্কর। ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনির পক্ষ থেকে জনমত গঠন করতে শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে পোস্টারও লাগানো হয়।
ব্যানার খোলা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শিলচরের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চও। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার রায় এক বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন এসব ঘটনা নিয়ে সরকারের নীরবতাও বিস্ময়কর। বাংলা ব্যানার খুলে নেওয়া কোন সভ্যতার পরিচায়ক এই প্রশ্ন তুলে অজয় বাবু বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, মঞ্চ পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যতে বিশ্বাসী, কিন্তু এর মানে এই নয় যে কেউ অন্যায় করলে চুপ করে বসে থাকতে হবে। সঙ্গে বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যা ঘটেছে তা আসলে কিছু লোকের বিক্ষিপ্ত হঠকারিতা। এর জন্য গোটা অসমীয়া সমাজের দিকে আঙ্গুল তোলা ঠিক নয়। তিনি অসমীয়া বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশকে মজবুত করে তুলতে তারাও যেন এসবের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন।