অনলাইন ডেস্ক : বিমানবন্দর কি বেসরকারি হাতে যাচ্ছে, এনিয়ে চর্চা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। আর এই বিমানবন্দর যেভাবে বছরের পর বছর লোকসানের মুখ দেখে চলেছে, এতে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে এমন সম্ভাবনাও।
অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৯-২০,২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ এই তিনটি অর্থবছর মিলিয়ে কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দরে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭’৬৮ কোটি টাকা। লোকসান হলেও পরিসংখ্যান থেকে উঠে এসেছে একটা ইতিবাচক তথ্যও, এর আগের বছরগুলোর তুলনায় এই তিন বছরে কিছুটা হলেও কমেছে, লোকসানের হার। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৪’৫৬ কোটি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৮’২৬ কোটি। অর্থাৎ আগের দুটি অর্থ বছরে যেখানে লোকসান হয়েছিল ৩২. ৮২ কোটি টাকা সেখানে পরবর্তী তিনটি অর্থবছর মিলিয়ে লোকসান হয়েছে ২৭.৬৮ কোটি টাকা। আর শুধু কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দরই যে লোকসানের মুখ দেখছে এমন নয়। রাজ্যের বিমানবন্দর গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে ডিব্রুগড়ের মোহনবাড়ীতে। ওই বিমানবন্দরে গত তিন অর্থ বছরে লোকসান হয়েছে ৬৪’৫৩ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লক্ষ্মীমপুরের লীলাবাড়ি বিমানবন্দর, তিন বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৩২.৬৮ কোটি টাকা। রাজ্যওয়াড়ি হিসেবে কুম্ভির গ্রাম রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গত তিন অর্থবছরে যোরহাটের ররৈয়া বিমানবন্দরে ১১.৮৫ কোটি, ধুবড়ির রূপসী বিমানবন্দরে ১১:৪৬ কোটি এবং তেজপুরের শালনী বিমানবন্দরে লোকসান হয়েছে ১০’৪৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে তিন বছরে রাজ্যের ছটি বিমানবন্দরে লোকসান হয়েছে ১৫৭’৬৯ কোটি টাকা । তাই কুম্ভিরগ্রামের পাশাপাশি অন্য পাঁচটি বিমানবন্দরও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে ক্রমেই। কুম্ভিরগ্রামে তুলনামূলকভাবে লোকসানের পরিমাণ কমলেও
সরকার নিশ্চয়ই নিজের কাঁধ থেকে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না।
প্রসঙ্গত গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলার পর শেষ দিকে লাভের মুখ দেখলেও সরকার এই বিমানবন্দরটি সমঝে দিয়েছিল বেসরকারি সংস্থার হাতে। এই পরিস্থিতিতে ক্রমান্বয়ে লোকসানের মুখ দেখা কুম্ভীরগ্রাম সহ রাজ্যের অন্য পাঁচটি বিমানবন্দর যে বেসরকারি হাতে তুলে দেবার তোড়জোড় চালানো হবে এনিয়ে বোধহয় কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়।