• অসম
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলো
  • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
  • অসম
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলো
  • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
  • অন্যান্য
Home অসম

বেপরোয়া পাথর ব্যবসার জাঁতাকলে কাঁদছে মধুরা-চিরি

মধুরা গতি পরিবর্তন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে

samayikprasanga by samayikprasanga
May 22, 2023
in অসম
0
বেপরোয়া পাথর ব্যবসার জাঁতাকলে কাঁদছে মধুরা-চিরি

অনলাইন ডেস্ক : মধুরা পাথর কোয়ারির একটি বিশেষ অংশ থেকে প্রায় দু’দশক ধরে পাথর উত্তোলন বন্ধ। হাইকোর্টের আদেশে সেখানে পাথর সংগ্রহ বন্ধ থাকলেও বনবিভাগের সহায়তায় মধুরার অন্যান্য স্থান থেকে যথাযথভাবে পাথর সংগ্রহে কোনও ভাঁটা পড়েনি কোনওদিনই। ফল্গুধারার মতো এই পাথর উত্তোলন সারা বছর বহাল থাকে। সোনাছড়া, বালাছড়া, ঠালিগ্রাম কোয়ারির ওপর স্থানীয়দের কর্মসংস্থান, ঠিকাদারদের ব্যবসা, টিপার মালিকদের ভাগ্য ও বনবিভাগের রাজস্ব যথারীতি তার গতি ধরেই চলেছে। কখনও বন বিভাগ নিজে দেখভাল করে, কখনও বিভিন্ন সিন্ডিকেটকে দায়িত্ব দিয়ে পাথর সংগ্রহ অব্যাহত রাখে। উল্লেখ্য, ক্রমাগত নদীবক্ষ থেকে পাথর উত্তোলনের ফলে মধুরার পাড় বিস্তৃত হতে হতে উজানের বহু স্থানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সেদিকে খুব একটা নজর দেওয়া হয়না বিভাগীয় তরফে। স্থানীয় অনেকে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পাথর সংগ্রহ না করা হলে কোনওদিন মধুরা তার গতি পরিবর্তন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ভেসে যেতে পারে বহু জনপদ। সেসঙ্গে অতিরিক্ত পাথর নদীবক্ষ থেকে ওঠানোর ফলে কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক বেরিয়ে জলের স্রোতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধির উপাদান বহন করে চলেছে বলেও অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের। তবে বনবিভাগের তরফে এক্ষেত্রে কোনও ধরনের পদক্ষেপ ছিলনা এবং এখনও নেই। বিভাগীয় তরফে কেবল পাথর সংগ্রহেই গুরুত্ব দেওয়া চলছে। কারণ হিসেবে দিনমজুরদের রুজিরুটির কথা বলা হচ্ছে। কারন, বৃহত্তর উধারবন্দ অঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক নিত্য মধুরা থেকে পাথর সংগ্রহের হাড়ভাঙা কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে পাশাপাশি পাথরের ব্যবসা করে স্থানীয় অনেকের রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার দৃষ্টান্তও প্রচুর। এলাকায় তাই বাড়ছে টিপার মালিকদের সংখ্যা। আয়ের প্রধান উৎস অবশ্যই মধুরা।

You might also like

জেউতি কলিতাকে অপসারণের দাবি ভক্তদের

পেহেলগাম নিয়ে পোস্ট, শিলচরে লেখিকাকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় যৌনকাণ্ড,গা ঢাকা দিলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক, ছুটিতে যাবার নির্দেশ কর্তৃপক্ষের

এদিকে দীর্ঘদিন মধুরায় কোনও মহালদার না থাকার ফলে ‘লুকোচুরি’র মাধ্যমে পাথর ব্যবসার অবসান ঘটাতে সম্প্রতি চণ্ডীঘাট মহাল নামে একটি পাথর উত্তোলন ক্ষেত্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় বনবিভাগ থেকে। এতে মহালদার হিসেবে বরাত পান বিমলেন্দু রায়। গঙ্গাপূজা সহ মাঙ্গলিক ক্রিয়া সাঙ্গ করে শুরু হয় মহাল। কিন্তু মাস যেতে না যেতেই এখানেও ঝামেলা সৃষ্টি হয়। উধারবন্দ ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন অভিযোগ করেন, শাসক দলের কয়েকজন প্রতি সিএম পাথর ৬৫০ টাকা করে দাবি করছেন। যা অনৈতিক। বরং এটি ২৫০ টাকার মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু অভিযোগ অনুসারে উধারবন্দের একটি শাসকদল ঘনিষ্ঠ নব্য পাথর ব্যবসায়ী রেট কম করতে অনাগ্রহী। এনিয়ে চরম অশান্তি বিরাজ করছে।

ঘটনা হচ্ছে, রাজ্যের বনবিভাগ চণ্ডীঘাট মাইনর মিনারেল ইউনিট (পাথর ও বালু) ১৭ কোটি ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বরাত দিয়েছে। এই খাদান থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার সিএম পাথর উত্তোলন করার অনুমতি পেয়েছেন নয়া মহালদার। সে অনুযায়ী চণ্ডীঘাটের নামে চালান ইস্যু হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু পাথর উঠছে মধুরা কোয়ারি থেকে, রয়েছে এমন অভিযোগও। গৌহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে যে মধুরা কোয়ারি লিজ দিতে পারে না বনবিভাগ। ফলে ওই কোয়ারিতে লক্ষ লক্ষ সিএম পাথর এমনিতে পড়ে রয়েছে। আর বনবিভাগের যোগসাজশে একটি বড়সড় সিন্ডিকেট করে মধুরার পাথর তুলে পাচার করা হচ্ছে। ফলে প্রাপ্য রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সূত্রের খবর, প্রতিদিন মধুরা থেকে কমকরেও ১০০টি টিপার পাথর নিয়ে বেরোচ্ছে। যদি প্রতিটি টিপারে ১০ সিএম পাথর থাকে এবং রোজ ১ হাজার সিএম পাথর পাচার করা হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে ৭৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এর পাশাপাশি চণ্ডীঘাটের পাশে সাহেবঘাটে আরও একটি ইউনিট রয়েছে। সেখান থেকেও নাম্বারপ্লেট বিহীন টিপার দিয়ে অবাধে পাথর পাচার চলছে। এনিয়ে এলাকায় বারকয়েক গণ্ডগোল হয়েছে।

উল্লেখ্য, মধুরার পাথর সংগ্রহ নিয়ে ঝামেলা নতুন কিছু নয়। সিন্ডিকেটের লড়াই বাঁচিয়ে রেখে এখানে বনবিভাগ তাদের ‘বিভাগীয় ব্যবসা’ অব্যাহত রেখে চলেছে বলে সরাসরি অভিযোগ কিছু পাথর ব্যবসায়ীর। তবে বনবিভাগ যদি স্রেফ পাথর পাচারকে গুরুত্ব দিয়ে মধুরার তীর ভাঙনে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে প্রকৃতিগত বিপদও নেমে আসতে পারে বলে সচেতন মহলের ধারণা। অন্যদিকে, মধুরা কোয়ারি সবসময় প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেও অদূরে থাকা চিরি কোয়ারির অবস্থাও ভয়াবহ। বিজ্ঞানবহির্ভূত ভাবে রোজ শত শত টিপার জয়পুর হয়ে চিরি নদীর বুক থেকে পাথর সংগ্রহ করছে। এতে কয়েকশ বিঘা বিস্তার লাভ করেছে ওই পাহাড়ি নদীটিও। পার ভাঙছে প্রতিদিন। গতি পরিবর্তন হলে উত্তরপূর্ব কাছাড়ে মহাদুর্যোগ নেমে আসা বিচিত্র নয়।

Tags: Barak Valley NewsChandighat MohalGawhati HighcourtMadhura syndicate
Previous Post

মণিপুরে ফের হিংসা, জারি কার্ফু

Next Post

আসাম এক দশকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী : রাজ্যপাল

Related Posts

জেউতি কলিতাকে অপসারণের দাবি ভক্তদের
slider

জেউতি কলিতাকে অপসারণের দাবি ভক্তদের

by samayikprasanga
May 9, 2025
কাকিমার স্বর্ণালংকার চুরি, শিলচরে বন্ধু ও জুয়েলারি কর্মী সহ পুলিশের জালে নাবালক
slider

পেহেলগাম নিয়ে পোস্ট, শিলচরে লেখিকাকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ

by samayikprasanga
May 5, 2025
বিশ্ববিদ্যালয় যৌনকাণ্ড,গা ঢাকা দিলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক, ছুটিতে যাবার নির্দেশ কর্তৃপক্ষের
slider

বিশ্ববিদ্যালয় যৌনকাণ্ড,গা ঢাকা দিলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক, ছুটিতে যাবার নির্দেশ কর্তৃপক্ষের

by samayikprasanga
May 5, 2025
বচসার  জেরে  অসুস্থ হয়ে পড়লেন শিক্ষিকা , চাঞ্চল্য উধারবন্দে
অসম

ভোট দিতে গিয়ে মহিলার মৃত্যু

by samayikprasanga
May 3, 2025
বুথ দখল, মারপিটে রক্তারক্তি কাটিগড়ায়, জখম ৮
slider

বুথ দখল, মারপিটে রক্তারক্তি কাটিগড়ায়, জখম ৮

by samayikprasanga
May 3, 2025
Next Post
আসাম এক দশকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী : রাজ্যপাল

আসাম এক দশকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী : রাজ্যপাল

Leave a Comment Below Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Useful Links

About Us
Contact Us
Privacy Policy

Subscribe Now

Don’t miss our future updates! Subscribe Today!

©2022. Samayik Prasanga. All Rights Reserved.

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?