অনলাইন ডেস্ক : ২০২২-র ভয়াবহ বন্যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এবারও। এই আশঙ্কা জাহির করে জেলা কমিশনারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বৃহত্তর বেতুকান্দি এলাকার বাসিন্দারা। সঙ্গে বেতুকান্দি বাঁধ রাস্তা সংস্কারের আবেদন জানিয়ে জেলা কমিশনারকে তাঁরা এ-ও শুনিয়েছেন, সময়ে পদক্ষেপ না করা হলে বিগত বন্যার মতো ফের ভেসে যেতে পারে শিলচর। কেননা, কাড়ারপার স্লুইস গেটের সম্মুখ থেকে পুরনো বাঁধ-রাস্তার প্রায় ৬০০ মিটার তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। এর থেকে সামান্য দূরে মাটি ফেলে সমান্তরাল যে নতুন বাঁধ-রাস্তা তৈরি হয়েছে, সেই রাস্তা দিয়েও মহিষা বিলের জল চুঁইয়ে প্রবেশ করছে নদীতে। কিন্তু বরাক নদীর জলস্তর বেড়ে গেলে জল প্রবেশ করবে মহিষা বিলের দিকে। বাসিন্দারা জানান, জলের তোড়ে নয়া বাঁধ রাস্তা ভেসে যাওয়ার আশঙ্কাই প্রবল। কারণ, নতুন মাটি এখনও পোক্ত হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া কাজের গুণগত মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তাই অকুস্থল পরিদর্শন করে জেলা কমিশনার যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মূলত কাড়ারপার বেতুকান্দি বাঁধ রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে বুধবার জেলা কমিশনারকে স্মারকপত্র প্রদান করেন বাসিন্দারা। একই স্মারকপত্র প্রদান করা হয় জলসম্পদ ও পূর্ত বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকেও। এদিকে, জেলা কমিশনার জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় ডিসি কার্যালয়ে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বাসিন্দাদের। এ নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন সবাই। স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয়, বৃহত্তর বেতুকান্দি এলাকার যোগাযোগের একমাত্র সম্বল বাঁধ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়া-আসা একরকম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেতুকান্দি, বড়জুরাই, কাড়ারপার ইত্যাদি গ্রামের প্রায় ১০হাজার মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। স্কুল কলেজ যেতে পারছে পড়ুয়ারা। দিনমজুরদের কাজে যাওয়া বন্ধ। এমনকি অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত নেই। আরও ভয়ঙ্কর কথা হচ্ছে, টানা বর্ষণে রাস্তা এতটা বিপদসংকুল হয়ে উঠেছে যে, চলাচল করতে গিয়ে যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়া আশঙ্কা রয়েছে।সবমিলিয়ে বিষিয়ে ওঠেছে বৃহত্তর বেতুকান্দি অঞ্চলের জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন -সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন বেতুকান্দি অঞ্চলের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর পক্ষে এদিন স্মারকপত্র প্রদান করেছেন আজমল হোসেন লস্কর, রঞ্জন দাস, রাজু দেব, বাহার মজুমদার, জিয়াউর হক মজুমদার, প্রবাল কান্তি দাস, আহমদ হোসেন মজুমদার, বিজু শর্মা, গোবিন্দ দাস, সুব্রত দাস, নাজিম উদ্দিন লস্কর, শুভ্র দাস, মজিবুর খান, মনোরঞ্জন রায় প্রমুখ।