অনলাইন ডেস্ক : নামে ডিফারেন্টলি অ্যাবলড্ কোচ। তবে বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের কোচে করে চলছে মালপত্র চোরাচালান। সাধারণ ট্রেনগুলোতে তো হচ্ছেই, এক্সপ্রেস ট্রেনকেও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না এভাবে অবৈধ উপায়ে পণ্য পরিবহনে। বদরপুর রেলের আওতাধীন সবক’টা বড় স্টেশন থেকে মালপত্র বোঝাই করা বা সেগুলো নামানো হয় প্রকাশ্যে। এমনকী, কুলীন ট্রেনগুলোকেও এসব কাজে ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে হামসফর, শিলচর ও আগরতলা থেকে দক্ষিণে বা দেশের নানা প্রান্তে চলাচলকারী ট্রেনে করেও চলছে বেআইনিভাবে পণ্য পরিবহন। বুকিং না করে রেলরক্ষী, টিটিই-টিসিদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে চলছে এই কারবার। এর ফাঁক গলে বহু ট্রেনে করে মাঝেমধ্যেই নেশাজাতীয় সামগ্রী পাচারের মতো ঘটনাও ঘটে চলেছে অবলীলায়।
১৩১৭৫ শিয়ালদহ-শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন বদরপুর পৌঁছার পর রবিবার এরকম ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত কামরার শৌচাগার থেকে সবার চোখের সামনেই আনলোড করা হয় সবজির প্রচুর বস্তা। ঠুটোঁ হয়ে সামনেই তখন দাঁড়িয়ে ছিলেন কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষক, রেলরক্ষীর জওয়ানও। এই কোচের টয়লেট তুলনামূলক বড় থাকায় জায়গাও প্রচুর। তাছাড়া বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীরা এসবের প্রতিবাদ করার মতো শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় থাকেন না। কিন্তু তাঁদের সুযোগসুবিধা ও সাচ্ছন্দ্যে বিষয়কে বিন্দুমাত্র আমল না দিয়েই একটি যাত্রী কোচকে মালবাহী কামরার মতো অবলীলায় ব্যবহার করার মতো বেআইনি কাজ চলছে রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ও প্রশ্রয়ে।